বাঁ দিকে, কাল্লার বুথে ভোটের লাইন। ডান দিকে, মহাত্মা গাঁধী হিন্দি হাইস্কুলের বুথে পাহারা। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের কয়েকটি বুথে পুনর্নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই বিরোধীরা ভোট বয়কটের ডাক দেন। সেই মর্মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে ভোট বয়কটের কথা জানিয়েও আসেন বাম নেতারা। কিন্তু, শুক্রবার পুনর্নির্বাচনের দিন আসানসোলের একটি বুথে দেখা গেল সিপিএম ও বিজেপির পোলিং এজেন্টদের।
এ দিন আসানসোল কর্পোরেশনের ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৬৬৭ নম্বর ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৬ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। ভোট ঘিরে কড়া পুলিশি টহলদারির ছবিও চোখে পড়ে। ভোটকে কেন্দ্র করে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ৬৬৭ নম্বর বুথে ভোটার সংখ্যা ৯৪৮, ভোট পড়েছে ৬৪৭টি (৬৮.২৪ শতাংশ)। পুনর্নির্বাচনের ঘোষিত দিনেও প্রায় এ রকমই ভোট পড়েছিল। ১২৬ নম্বর বুথে ভোটার সংখ্যা ১১০৯ জন। ভোট পড়েছে, ৮০৩টি (৭২.৪০ শতাংশ)।
ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হলেও এ দিন ১২৬ নম্বর বুথে সিপিএমের পোলিং এজেন্টকে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সিপিএমর রাজ্য কমিটির সদস্য তথা আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশোগোপাল চৌধুরী বলেন, ‘‘এলাকার বাসিন্দারা চেয়েছিলেন। তাঁরাই পোলিং এজেন্ট বসিয়েছেন। আমাদের কিছু বলার নেই।’’
ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয় বিজেপির তরফেও। যদিও ১২৬ নম্বর বুথেই বিজেপির পোলিং এজেন্টকে দেখা যায়। পরে বিজেপির রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি সুভাষ সরকার যদিও বলেন, ‘‘খবর আসার পরেই আমরা ওই এজেন্টকে বুথ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। তিনি চলেও গিয়েছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy