বৈঠকে এসপি ও জেলাশাসক। —নিজস্ব চিত্র।
যাঁরা আইন ভাঙবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত বা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। তিনি জানান, জেলায় গত ৫ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাতে অভিযুক্ত ১৯৪ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আর জামিন অযোগ্য ধারার দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে তিন হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৯০০ জন অবশ্য এখনও অধরা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বার ভোটগ্রহণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলার ৬৭৮৪টি বুথের মধ্যে প্রতিটিতেই হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী, নয়তো মাইক্রো অবজার্ভার অথবা ভিডিও ক্যামেরা থাকবে। তবে ওই বুথগুলির কোনগুলি অতি স্পর্শকাতর, কোনগুলি স্পর্শকাতর সে তথ্য দিতে চাননি তিনি। তিনি জানান, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের তরফে আমাদের মুখ না খুলতে বলা হয়েছে। জেলার তিন লোকসভা আসনে কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, সৌমিত্র মোহন সে বিষয়েও মুখ খুলতে চাননি।
সৌমিত্র মোহন বলেন, “সম্প্রতি নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের দায়ের অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মঙ্গলকোটের বিডিও স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ওঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।” এসপি মীরাজ খালিদের উপস্থিতিতেই তিনি জানান, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য জনপ্রতিনিধিত্বমূলক আইনের ১২৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। পরে বিকেলে এ প্রসঙ্গে এসপিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, অনুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে সিআরপিসির ১০৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা জামিন যোগ্য। তিনি ইতিমধ্যে জামিন নিয়েও নিয়েছে। জেলাশাসককে ফের জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে পুলিশই সঠিক তথ্য দিতে পারবে।
এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৩৯৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫১৭টি গুলি, ২৬১৭টি বোমা, ৪৫০০ কিলো বিশেষ ধরনের বিস্ফোরক ও প্রচুর ডিটোনেটার মিলেছে বলেও জানান জেলাশাসক। এগুলির বেশির ভাগই জেলার পশ্চিমাঞ্চল থেকে মিলেছে। আসানসোলের জামুড়িয়া ও বর্ধমানের খণ্ডঘোষে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ মিলেছে বলেও জানান জেলাশাসক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy