উল্টে যাওয়া লরি। নিজস্ব চিত্র।
এলোমেলো গতিতে দুর্গাপুর স্টেশনের দিক থেকে ছুটে আসছিল একটি দশ চাকার লরি। সগড়ভাঙার কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় লরিটি। সেই সময় ওই রাস্তা ধরে সাইকেল করে আসার সময়ে এক ব্যক্তি চাপা পড়ে মারা যান এক ব্যক্তি। এই ঘটনার পরে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শামসের খান (৩৫)। ঘাতক লরির চালক ও চালক পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে দশ চাকা পাথর বোঝাই লরিটি যখন নিয়ন্ত্রন হারায়, তখন তার পাশেই ছিলেন সাইকেল আরোহী শামসের। লরির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত ব্যক্তি অন্ডালের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে সগড়ভাঙায় থাকতেন। কাজ করতেন বাঁশকোপার একটি বেসরকারি কারখানায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু শামসেরবাবুর দেহ লরির তলায় এমন ভাবে পিষ্ট হয়েছিল যে তাঁকে বের করা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পাথর বোঝাই লরিটি খালি করে দেহটি তোলার ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমে লরিটি থেকে সমস্ত পাথর নামানো হয়। তারপর ব্রেক ডাউন ভ্যানের সাহায্য ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় লরিটিকে তোলা হয়। তারপরে লরির নীচে থেকে দেহটি বের করে নিয়ে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধারের সময়ে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই এলাকার উপরদিয়ে অনেকগুলি রুটের বাস চলাচল ও পণ্য বোঝাই লরি যাতায়াত করে। এলাকাটি বেশ জনবহুলও বটে। কিন্তু রাস্তাতে কোনও ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকার কারণে মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দা হৃদয় ঘোষের দাবি, “এই রাস্তায় বার বার ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ট্রাফিকের ব্যবস্থা না করলে আমরা এ বার বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” পুলিশ জানিয়েছে, লরির চালক ও খালাসির খোঁজে তল্লাশি চলছে। ওই রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থা তৈরির জন্য চেষ্টা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy