রাধারানি স্টেডিয়ামে হেলিপ্যাড তৈরি।—নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার আগে হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে রাধারানি স্টেডিয়ামে। ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৩ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সমস্ত খেলা।
ওই লিগে যোগ দেওয়া ক্লাবগুলি জানিয়েছে, তিন দিনই গুরুত্বপণর্র্ ম্যাচ ছিল। ২৩ তারিখ ছিল দিলীপ স্মৃতি সঙ্ঘ ও বিবেকানন্দ সঙ্ঘের ম্যাচ, ২৪ তারিখে ছিল মিলনী সঙ্ঘ বনাম কল্যাণ স্মৃতি সঙ্ঘের খেলা ও ২৫ তারিখ শিবাজি ও বিবেকানন্দ সঙ্ঘ পরস্পরের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। ফের রাধারানি স্টেডিয়ামে ওই তিনটি খেলা হবে ৩, ৪ ও ৬ মে।
এর আগেও প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট লিগ প্রায় একমাস বন্ধ ছিল। উপযুক্ত আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনার দাবিতে ক্লাবগুলি খেলতে চাইছিল না। পরে নতুন ক্রীড়াসূচী তৈরি করে ঠিক হয়, ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ওই লিগ শেষ করা হবে। এমনিতেই প্রচন্ড রোদে খেলা হওয়ায় ক্লাবের কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ ছিলেন। খেলা ফের পিছিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানাজানি হতে অসন্তোষ ছড়িয়েছে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে।
দিলীপ স্মৃতি সঙ্ঘের কর্মকর্তা চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, “এত গরমে একমাস পরে খেলা শুরু হলো। তারপরে হেলিপ্যাড তৈরি নিয়ে ফের সেটা পিছিয়ে গেল। ছেলেদের কথা একবারও ভাবল না জেলা ক্রীড়া সংস্থা। অন্য মাঠেও তো খেলাগুলো দেওয়া যেত!” মিলনীর কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরীও বলেন, “কখন যে ক্রীড়াসূচী বদলে যাচ্ছে, জানতেও পারছি না। অথচ আমি জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সাব-কমিটির সদস্য।”
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক পীরদাস মণ্ডল বলেন, “রাধারানি স্টেডিয়ামে হেলিপ্যাড তৈরির সিদ্ধান্ত আমি একা নিইনি। সবার সম্মতিতেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার জন্য প্রশাসন মাঠ নিলে কী করব? জেলাশাসকই তো আমাদের সংস্থার সভাপতি।”
মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির কাজে ব্যস্ত পূর্ত দফতরের এক অফিসার বলেন, “এই মাঠে যে রোজ নানা ধরণের খেলাধূলা হয়, তা আমরা জানি। তাই যথেষ্ট সাবধান হয়ে, যাতে মাঠের ক্ষতি না হয়, সেভাবেই হেলপ্যাড তৈরি করছি আমরা।”
তবে শুধু হেলিপ্যাডই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে থাকা প্রচুর গাড়িও সেদিন সরাসরি মাঠের ভেতর ঢুকবে বলে আশঙ্কা ক্রীড়াবিদদের। পীরদাসবাবু বলেন, “মাঠের ভেতর গাড়ি ঢুকবে কি না, তা এখনও জানতে পারিনি। ওটা একান্তই প্রশাসনের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত। এতে আমাদের কিছু বলার নেই।”
জেলাপ্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, মাঠে হেলিপ্যাড তৈরি হলে মাঠের কোনও ক্ষতি হবে না, জেনেই ওখানে হেলিপ্যাড তৈরি করেছেন তাঁরা। তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে ওই মাঠেই হেলিপ্যাড তৈরি করার নির্দেশ এসেছিল। তাঁদের আশ্বাস, মাঠের মধ্যে যাতে প্রচুর গাড়ি না ঢোকে সেদিকে নজর রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy