Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হাতুড়ি-ছুরি দিয়ে খুন করে হায়দর

মেঝে খুঁড়ে শুক্রবার বেনাচিতির উত্তরপল্লির একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলার দেহ, শাবল। তা দেখে শুক্রবার প্রাথমিক তদন্তে দুর্গাপুর থানার পুলিশ অনুমান করে, স্ত্রীকে খুন করতে শাবল ব্যবহার করেছিল শেখ হায়দর।

আদালতে শেখ হায়দর। নিজস্ব চিত্র

আদালতে শেখ হায়দর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ০২:৩২
Share: Save:

মেঝে খুঁড়ে শুক্রবার বেনাচিতির উত্তরপল্লির একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলার দেহ, শাবল। তা দেখে শুক্রবার প্রাথমিক তদন্তে দুর্গাপুর থানার পুলিশ অনুমান করে, স্ত্রীকে খুন করতে শাবল ব্যবহার করেছিল শেখ হায়দর। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই, পুলিশের অনুমান বদলে দিল ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। শনিবার পুলিশের দাবি, রেজিনা বেগম ওরফে রিনাকে খুন করতে সম্ভবত হাতুড়ি ও ছুরি ব্যবহার করেছিল হায়দর।

পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার রেজিনাকে খুন করে হায়দর। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হায়দর বেনাচিতিতে বাড়ির মালিককে ফোনে জানায়, সে কলকাতায় রয়েছে। কথায় কথায় ‘কবুল’ও করে রেজিনাকে খুন করেছে। সঙ্গে এ-ও জানায়, ঘরের উঠোনেই পুঁতে রেখেছে রেজিনাকে। এর পরে বাড়ির মালিকের কথা মতো শুক্রবার বিকেলে দুর্গাপুরে ফিরতেই সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড থেকে হায়দরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবারই রেজিনার দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে।

শনিবার তদন্তাকারীরা দাবি করেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রেজিনার কপালে হাতুড়ি জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া দেহের বুক ও গলাতেও ছুরি দিয়ে কোপানোর চিহ্ন মিলেছে। কমিশনারেটের এক তদন্তকারীর দাবি, জেরায় হায়দর জানিয়েছে, ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে খুন করেছে সে। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত সেই সময়ে মাথার পিছনে আঘাত করে হায়দর। কোনও কিছু আন্দাজ করে রেজিনা জেগে গিয়ে মাথা সরিয়ে নেওয়াতেই আঘাত লাগে কপালে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ও বুকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘হায়দরের দাবি ঠিক কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই হায়দরকে উত্তরপল্লির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খুনের ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হবে।’’ তবে শনিবার রাত পর্যন্ত ছুরি বা হাতুড়ি, কোনওটিই উদ্ধার করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

তা হলে শাবল কী কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল? পুলিশের দাবি, শাবল ও কোদাল মাটি খুঁড়তে কাজে লাগিয়েছিল হায়দর। এ দিন হায়দরকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে এক সপ্তাহের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sheikh Haider Murder murder case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE