অশান্তির পরে পাহারা আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। —নিজস্ব চিত্র।
দু’দল ছাত্রের সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিলেন আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোটা ঘটনার তদন্তে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। শনিবার থেকেই তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়বে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। শনিবারও কলেজের সামনে পুলিশের টহলদারি ছিল।
শুক্রবার ওই কলেজে নবীন বরণ উৎসব ছিল। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠান চলাকালীনই তৃতীয় বর্ষের একদল আবাসিক ছাত্রের সঙ্গে বাইরের মেসে থাকা কলেজের আর এক দল ছাত্রের বচসা বাধে। দু’পক্ষই তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে গণ্ডগোল চরম আকার নেয়। দু’পক্ষই লাঠি, বাঁশ হাতে পরস্পরের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছাত্রদের মারামারি কলেজ প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে সেন র্যালে রোডে গিয়ে পড়ে। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। দু’পক্ষের মারামারির মাঝে পড়ে সাধারণ মানুষজনও আহত হন। গোটা অঞ্চল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। খবর সংগ্রহে গিয়ে আক্রান্ত হন কিছু সাংবাদিকও।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক সময়ে পুলিশকেও পিছু হঠতে হয়। পরে অবশ্য পুলিশের বড বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কলেজের ডিন আরএন দাস শনিবার বলেন, ‘‘গোটা ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।’’ তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে ১০ জন ছাত্রকে এই ঘটনার জন্য শো-কজ করা হয়েছে। কলেজের পরিবেশ এখন স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy