খন্দ-পথ: আউশগ্রামের এই রাস্তাতেই পরপর ঘটছে দুর্ঘটনা। নিজস্ব চিত্র
রাস্তা সারাইয়ের দাবি ছিলই। পরপর দুর্ঘটনায় তা আরও জোরালো হয়েছে।
গত সপ্তাহেই আউশগ্রামের বন নবগ্রামের কাছে বেহাল রাস্তায় পড়ে প্রাণ হারান এক মহিলা। ক’দিন যেতে না যেতেই ইলামবাজার রুটের বাসের ছাদ থেকে পড়ে আহত হন আদিবাসীপাড়ার এক যুবক। পরপর দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বননবগ্রামের মোচপুকুরের পাড় থেকে মোড়বাঁধ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা না সারালে প্রাণ হাতে নিয়েই চলতে হবে তাঁদের। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বারবার আর্জি জানানোর পরেও মেরামতির কোনও উদ্যোগ করা হয়নি।
আউশগ্রাম থেকে ইলামবাজার, সিউড়ি, মোড়বাঁধ, এগারো মাইল যাওয়ার এটিই একমাত্র রাস্তা। তাছাড়া রামনগর বা অমরপুর পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বননবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে হলেও এই রাস্তা ছাড়া উপায় নেই। বননবগ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ শীলের অভিযোগ, “গত দু’বছর ধরে রাস্তাটা ক্রমেই ভাঙছে। এখন তো মোটরবাইক বা গাড়িতেও যাওয়া মুশকিল। নিত্যদিন দুর্ঘটনা লেগেই আছে।” অসুস্থ, বৃদ্ধা বা প্রসূতিদের পক্ষে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত অত্যন্ত ঝুঁকির বলেও তাঁর দাবি। রাস্তার ওই অংশেই বাঘরাই-এ রয়েছে কুনুর নদীর উপর সেতু। ফি বছর বন্যায় রাস্তার একটা অংশ জলের তলায় চলে যায় বলে জানিয়েছেন ধনকোড়া গ্রামের বাবলু বাউরি। তাঁর অভিযোগ, “প্রতি বছরই বন্যার পরে রাস্তায় গর্ত হয়ে যায়, পাথর বেড়িয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেও রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। বারবার বলেও কোন সুরাহা হচ্ছে না।’’ রাস্তাটি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বাসকর্মীদেরও।
স্থানীয় রামনগর পঞ্চায়েতের সদস্য কুশধ্বজ ঘোষ সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানান, এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। সামনের বর্ষার আগে মেরামতি শুরু না হলে সমস্যা চরম আকার নেবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারও জানান, “মোড়বাঁধের আগে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে শুনেছি।” আর পূর্ত দফতরের দাবি, রাস্তা সারানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy