Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দু’দলের সম্মানের লড়াই দুই ওয়ার্ডে

অনিন্দিতাদেবীর দাবি, কোনও অঙ্ক বা প্রতিদ্বন্দ্বীর কথা মাথায় রেখে প্রার্থী হননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি দীর্ঘদিন সমাজসেবার কাজকর্মে জড়িত। মানুষের জন্য আরও বেশি করে কাজ করব বলে রাজনীতিতে এসেছি। শহরবাসী তা জানেন।’’

অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

সুব্রত সীট
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ০০:৪৪
Share: Save:

শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ওয়ার্ড থেকে জিতে আগের বার মেয়র হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে সেখানে ছবিটা খানিকটা পাল্টেছে। বিদায়ী মেয়র এ বার আর ভোটের লড়াইয়ে নেই। তাঁর বদলে এ বার ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী তাঁর স্ত্রী। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকা নিয়ে গড়া ২২ নম্বর ওয়ার্ড এ বার তাই তৃণমূলের কাছে মর্যাদার লড়াই। কংগ্রেসের কাছে তেমনই সম্মানের লড়াই ২৬ নম্বর ওয়ার্ড। কখনও না হারা এই ওয়ার্ড ধরে রাখা এ বার চ্যালেঞ্জ দলের নেতাদের কাছে।

গত পুরভোটে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় দেড় হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূলের অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। এ বার অপূর্ববাবু সরে দাঁড়ানোর পরে অনিন্দিতাদেবীকে ২২ নম্বরে প্রার্থী করেছে শাসক দল। এ বারও এই ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী শুভাশিস মাইতি। বিধানসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে অপূর্ববাবু পিছিয়ে পড়েছিলেন এক হাজারেরও বেশি ভোটে। যদিও অনিন্দিতাদেবীর দাবি, কোনও অঙ্ক বা প্রতিদ্বন্দ্বীর কথা মাথায় রেখে প্রার্থী হননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি দীর্ঘদিন সমাজসেবার কাজকর্মে জড়িত। মানুষের জন্য আরও বেশি করে কাজ করব বলে রাজনীতিতে এসেছি। শহরবাসী তা জানেন।’’

অনিন্দিতাদেবীর উদ্যোগে চার বছর ধরে গাঁধী মোড়ে মিষ্টি উৎসবের আয়োজন হচ্ছে। সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ মাঠে বছর চারেক আগে শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসবের সূচনাও করেন তিনি। মিষ্টি উৎসবে প্রতি বারই আসেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘‘কত মানুষ আসেন! অভিনব উৎসব।’’ অনিন্দিতাদেবী বলেন, ‘‘সিটি সেন্টারের মানুষের সঙ্গে তো আগে থেকেই সম্পর্ক রয়েছে।’’ তৃণমূল নেতাদের দাবি, নানা কর্মসূচিতে জড়িত থাকায় অনিন্দিতাদেবীর গ্রহণযোগত্যা রয়েছে। সরাসরি রাজনীতির লোক না হওয়ায় দলের সব পক্ষেরও সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। তাই সব প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে এ বারও এখানে তাঁরা জিতবেন, আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতারা। সিপিএম নেতা বিপ্রেন্দু চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, উন্নয়নের প্রশ্নে গত পুরবোর্ড সার্বিক ভাবে ব্যর্থ। তাই মানুষ তৃণমূলের পাশে নেই।

২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিদায়ী কাউন্সিলর কংগ্রেসের শাশ্বতী কর্মকার গত পুরভোটে ১৮৬ ভোটে জেতেন। তার আগে এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর স্বামী, প্রয়াত শ্রমিকনেতা বংশীবদন কর্মকার। এ বার এখানে প্রার্থী হয়েছেন বংশীবাবুর দীর্ঘদিনের সঙ্গী অশোক শাসমল। গত বার কংগ্রেসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল সিপিএম। এ বার তাদের সমর্থন পাচ্ছে কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রার্থীকে নিয়ে আবার দলের কর্মী-সমর্থকদেরই মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাই এ বারও এই ওয়ার্ড ধরে রাখায় আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস। যদিও তৃণমূলের তরফে এই ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা মন্ত্রী স্বপনবাবু বলেন, ‘‘এককাট্টা হয়ে প্রার্থীকে জেতাতে লড়ছেন সবাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

campaign Municipal Election TMC Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE