Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

‘উন্নয়ন’ নিয়ে প্রচারে লড়াই আমরাসোঁতায়

১৯৮৩ সাল থেকেই এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, এলাকায় উন্নয়নের জন্য মানুষ সব সময় তাঁদের সঙ্গে থেকেছেন।

বাঁশরায় পথে সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। শনিবার। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

বাঁশরায় পথে সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। শনিবার। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

নীলোৎপল রায়চৌধুরী
শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৮ ১১:২০
Share: Save:

জেলার অন্য অনেক এলাকার থেকে ছবিটা আলাদা। কারণ, এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে সব আসনেই। রানিগঞ্জের আমরাসোঁতা পঞ্চায়েতে তাই প্রচারও চলছে জোরকদমে। সব পক্ষই প্রচারে তুলে ধরছে ‘উন্নয়ন’-এর কথা। তবে কার কৃতিত্বে ‘উন্নয়ন’, তরজা সে নিয়েই।

১৯৮৩ সাল থেকেই এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, এলাকায় উন্নয়নের জন্য মানুষ সব সময় তাঁদের সঙ্গে থেকেছেন। দলের প্রার্থী তথা বিদায়ী প্রধান সীমা বাউরির দাবি, ন’বছর আগে নির্মল মিশন প্রকল্পে পুরস্কৃত হয়েছিল এই পঞ্চায়েত। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে একশো দিনের কাজে অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় প্রথম হয়েছিলেন তাঁরা। ভাল কাজই তাঁদের হাতিয়ার বলে দাবি করেন সীমাদেবী।

প্রচারে বেরিয়েও কাজের খতিয়ান জানাচ্ছেন পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদের বাম প্রার্থীরা। সীমাদেবী দাবি করেন, পঞ্চায়েতে জবকার্ড থাকা ৬৭৮ জনের মধ্যে ৫২৯ জন কাজ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ১০৫ জন একশো দিন কাজ পেয়েছেন। আশি দিনের কম কাজ কেউ পাননি। রাস্তায় আলো, জল-সহ নানা ব্যবস্থা তাঁরা করেছেন দাবি করে বিদায়ী প্রধানের অভিযোগ, “এখন পঞ্চায়েত দখলেন জন্য সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের পঞ্চায়েতের প্রার্থী দীনেশ বাউরি ও এক প্রার্থীর স্বামী সঞ্জয় হেমব্রমের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ওঁরা প্রচারে বেরোতে পারছেন না।’’ তবু তাঁরা জেতার ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানান তিনি।

কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূলও। দলের জেলা পরিষদের প্রার্থী মিঠু খাঁ, রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জিতেন বাউরির নেতৃত্বে আমরাসোঁতা পঞ্চায়েতের প্রার্থীরা প্রচার সারছেন। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক নানা কাজের কথা বাসিন্দাদের জানাচ্ছেন তাঁরা। অশান্তি তৈরির নালিশ উড়িয়ে মিঠুদেবীর পাল্টা অভিযোগ, “প্রতি বার পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাস তৈরি করে এই পঞ্চায়েতটি দখলে রেখেছে সিপিএম। সম্প্রতি আমাদের দুই নেতাকে ওরা মারধর করেছে।’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘এ বার ওদের হার নিশ্চিত। কারণ, এলাকাবাসী অন্য পঞ্চায়েতের সঙ্গে এই পঞ্চায়েতের উন্নয়নের ফারাক বুঝতে পারছেন।”

লড়াইয়ে রয়েছে বিজেপি-ও। দলের কর্মীরা বাঁশরায় দেওয়াল লিখনে জোর দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা কেন্দ্রের উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরছেন বলে দলের নেতা বাদশা চট্টোপাধ্যায় জানান। তাঁর দাবি, অবাধ ভোট হলে দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE