Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে সিপিএমের জেলা ভাগ জুলাইয়ে

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে জেলা সম্পাদক পদে থাকবেন অচিন্ত্যবাবুই। নবগঠিত পশ্চিম বর্ধমানে জেলা সম্পাদক কে হবেন, সে নিয়ে আলোচনা চলছে। শিল্পাঞ্চলের তিন নেতা বংশগোপাল চৌধুরী, গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ও আভাস রায়চোধুরীর নাম আলোচনায় উঠেছে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

সুব্রত সীট
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ০৩:৪৩
Share: Save:

জেলা ভাগের মাস তিনেকের মাথায় ভাগ হতে চলেছে সিপিএমের জেলা সংগঠন। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ জুলাই দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বর্ধমানে এসে সংগঠন দু’ভাগের কথা ঘোষণা করবেন। অবিভক্ত জেলায় দলের সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিকই পূর্ব বর্ধমানে সেই পদে রয়ে যাবেন। পশ্চিম বর্ধমানের ক্ষেত্রে দলের তিন রাজ্য কমিটির সদস্যের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে বলে সিপিএম সূত্রের খবর।

বর্ধমান জেলা পূর্ব ও পশ্চিমে ভাগ হয়েছে ৭ জুলাই। অন্য নানা রাজনৈতিক দল কাজের সুবিধায় ইতিমধ্যে সংগঠন ভাগ করে নিয়েছে। সিপিএমের নানা সূত্রের খবর, সংগঠন ভাগের ব্যাপারে দলের জেলা নেতৃত্বের একাংশের পুরোপুরি সায় ছিল না। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব সংগঠন কলেবরে ছোট করে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোয় জোর দেওয়ার পরে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে।

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে জেলা সম্পাদক পদে থাকবেন অচিন্ত্যবাবুই। নবগঠিত পশ্চিম বর্ধমানে জেলা সম্পাদক কে হবেন, সে নিয়ে আলোচনা চলছে। শিল্পাঞ্চলের তিন নেতা বংশগোপাল চৌধুরী, গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ও আভাস রায়চোধুরীর নাম আলোচনায় উঠেছে। দলের এক জেলা নেতা জানান, এই তিন জনই রাজ্য কমিটির সদস্য। তবে আভাসবাবুকে পূর্ব বর্ধমানের সাংগঠনিক কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাই বাকি দু’জনের মধ্যে থেকেই কারও নতুন জেলার প্রথম জেলা সম্পাদক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জেলা সিপিএমের একটি সূত্রের ধারণা।

সিটুর জেলা সম্পাদক তথা প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপালবাবু রাজ্য নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই দৌড়ে তিনি এগিয়ে, ধারণা নেতা-কর্মীদের অনেকের। তবে নতুন জেলার সিপিএম নেতাদের একাংশ পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক গৌরাঙ্গবাবুকে জেলা সম্পাদক পদে চাইছেন। তাঁদের দাবি, গৌরাঙ্গবাবু সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, পার্টি অফিসে দিন কাটানো ও সাধারণ জীবনযাপন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরিতে সাহায্য করবে।

গত বিধানসভা ভোটে অবিভক্ত বর্ধমানের ২৫টি আসনে ৫টিতে জেতে বামেরা। তার মধ্যে তিনটিই এখন পশ্চিম বর্ধমানের অন্তর্গত। এ ছাড়া ওই ভোটে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতার পরে দুর্গাপুরে একটি কেন্দ্রে জেতে কংগ্রেস। শিল্পাঞ্চলে বাম এবং সিটুর নানা কর্মসূচি চলে ধারাবাহিক ভাবে। সিপিএম সূত্রের খবর, কোনও কর্মসূচি সফল করা বা আর্থিক প্রয়োজনে শিল্পাঞ্চলের সংগঠন ছিল জেলা নেতৃত্বের বড় ভরসা। সংগঠন ভাগের পরে পূর্ব বর্ধমানে দল এ সব বিষয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে পারে বলে সিপিএমের অন্দরেই আশঙ্কা।

জেলা সম্পাদক অচিন্ত্যবাবু অবশ্য এই আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘দায়ে-বিপদে পাশে থেকে মানুষের আস্থা অর্জনই আসল কথা। আমরা প্রতিনিয়ত তা করে যাচ্ছি।’’ জেলা সংগঠন ভাগের বিষয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE