গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী। নিজস্ব চিত্র
পাওনা টাকা নিয়ে আলোচনা চলছিল ব্যবসার দুই অংশীদারের মধ্যে। আচমকা এক অংশীদারকে লক্ষ করে গুলি চালিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার ভরসন্ধ্যেয় কাটোয়ার মাধবীতলায় এই ঘটনার পরে এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ।
কাটোয়া থানার পুলিশ জানায়, কলেজপাড়ার বাসিন্দা, বছর ২৮-র রথীন বিশ্বাস প্রোমোটারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সেই ব্যবসাতেই অংশীদার খাজুরডিহির নূরু ইসলাম শেখ। রথীন এ দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, নূরের কাছে তাঁর ১২ লাখ পাওনা রয়েছে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরে নূরের কথা মতো সন্ধ্যা ছ’টা-সাড়ে ছ’টা নাগাদ মাধবীতলার একটি হোটেলে যান রথীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানেই দোতলার একটি ঘরে টাকাপয়সা নিয়ে আলোচনা চলছিল দু’জনের। আচমকা দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে। রথীন এ দাবি করেন, ‘‘বচসা চলাকালীন হঠাৎ পিছন থেকে ছোড়া একটা গুলি ঘাড়ের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি, অজ্ঞাতপরিচয় দু’জন যুবক বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে। বন্দুক ছিনিয়ে নিতে গেলে দু’জন ফের এক রাউন্ড করে গুলি চালায়। তার পরেই চম্পট দেয় নূরু-সহ ওই দুই জন।’’
রথীনবাবুর বাঁ পায়ে গুলি লাগে। সেই সময়ে কোনও রকমে এক তলায় নেমে রথীনবাবু চিৎকার করলে জড়ো হয়ে যান লাগোয়া এলাকার লোক জন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে টোটোয় চাপিয়ে তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান চিকিৎসকেরা। এলাকার কয়েক জন জানান, ওই তিন জন মোটরবাইক ফেলেই চম্পট দিয়েছিলেন। তবে শনিবার এবং বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ দোকানপাট সেই সময়ে বন্ধ ছিল বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে এই ঘটনার পরে এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির তরফে বিদ্যুৎ নন্দী বলেন, ‘‘বছর তিনেক আগে স্টেশন বাজার চৌরাস্তায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বাসানোর জন্য আবেদন করেও লাভ হয়নি। এই ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি বসানো এবং সন্ধ্যার পরে পু্লিশি টহল বাড়ানো হোক।’’ দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy