ক্ষোভ মলানদিঘিতে।—নিজস্ব চিত্র
বন দফতরের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘি পঞ্চায়েতের আড়রা শিবতলা এলাকায়। অবিলম্বে নির্মাণগুলি ভেঙে দিয়ে সেখানে গাছ লাগানোর দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন দফতর জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে ওই এলাকায় পরপর বাড়ি তৈরি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানান। কিন্তু নির্মাণ বন্ধ হয়নি। শেষে তাঁরা মলানদিঘি পঞ্চায়েতে অভিযোগ করেন। সোমবার পঞ্চায়েত প্রধান আশু সোরেন এলাকা ঘুরে দেখার পরে জানান, এই সব বাড়ি তৈরির কোনও অনুমোদন পঞ্চায়েত দেয়নি। তাছাড়া বাড়িগুলির উপর দিয়ে উচ্চ পরিবাহী বিদ্যুতের লাইন গিয়েছে। যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা শিবরাম মণ্ডল বলেন, ‘‘এমনিতেই দুর্গাপুরে দূষণ বেশি। এ ভাবে বন দফতরের জমিও দখল হয়ে গেলে সমস্যা বাড়বে। তাই আমরা প্রতিবাদ করেছি।’’
এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, মোট ১৭টি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। তারই একটি বিধাননগরের বাসিন্দা মনোজ সাহার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েতের কাছে অনুমতি নিইনি, সেটা ঠিক। কিন্তু আমি বৈধ ভাবে দাম দিয়ে জমি কিনেছি। আমার কাছে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও আছে।’’ বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে এলাকায় যান বন দফতরের স্থানীয় বিট আধিকারিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বন দফতরের জমিতে বিনা অনুমতিতে যে কোনও নির্মাণই বেআইনি। নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দফতরের মোট ১১ হেক্টর জমি রয়েছে। কিছু অংশে গাছ লাগানো হয়েছে। প্রায় ৩ হেক্টর জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জমি মাফিয়ারা গায়ের জোরে জমি দখল করে বেআইনি ভাবে তা বিক্রি করে দিচ্ছে। বিট অফিসার সুদীপবাবু জানান, বন দফতরের জমি কী ভাবে হাতবদল হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy