Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ক্ষোভ দলের বিধায়ককে নিয়ে ‘কংগ্রেস’ই মুছে গেল কার্যালয়ে

দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সঞ্জীব সরণির কার্যালয়টি এলাকায় ‘বিশ্বনাথবাবুর কার্যালয়’ হিসেবেই পরিচিত। তৃণমূলে থাকাকালীন এখানেই বসতেন তিনি। পরে বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে তা কংগ্রেসের ‘কার্যালয়’ হয়ে যায়। কার্যালয়ের সাইনবোর্ড থেকে মুছে ফেলা হয় ‘তৃণমূল’ শব্দটিও।

এই সেই কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র

এই সেই কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৭ ০৯:৪০
Share: Save:

এখনও পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসেরই বিধায়ক। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে তিনি দুর্গাপুরে যে কার্যালয়ের বসতেন, তার বাইরে জ্বলজ্বল করত ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস’ লেখাটি। কিন্তু দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের কার্যালয়ের বাইরে শনিবার সেই লেখাটিই মুছে দেওয়া হয়েছে। এর পরে বিধায়কের ‘ভাবগতি’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন শহরের কংগ্রেস নেতৃত্ব।

দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সঞ্জীব সরণির কার্যালয়টি এলাকায় ‘বিশ্বনাথবাবুর কার্যালয়’ হিসেবেই পরিচিত। তৃণমূলে থাকাকালীন এখানেই বসতেন তিনি। পরে বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে তা কংগ্রেসের ‘কার্যালয়’ হয়ে যায়। কার্যালয়ের সাইনবোর্ড থেকে মুছে ফেলা হয় ‘তৃণমূল’ শব্দটিও। তৃণমূল যদিও সেই সময়ে অভিযোগ করে, কার্যালয়টি ‘দখল’ করেছেন বিধায়ক।

রবিবার কংগ্রেস নেতৃত্ব জানান, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে আসার সময়ে বিশ্বনাথবাবু ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, ‘ছেড়ে যাওয়া চপ্পলে আর পা গলাবেন না।’ কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে অবশ্য ফের উল্টো দিকে বইতে শুরু করে রাজনীতির হাওয়া। বিধায়কের ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। সম্প্রতি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে বিধায়কের স্ত্রী রুমাদেবী ও বিধায়কের অনুগামী বলে পরিচিত এক জন তৃণমূলে যোগ দেন। শুধু তাই নয়, রুমাদেবী ও বিধায়ক অনুগামী বলে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত অন্তত ছ’জন এ বার পুরভোটেও তৃণমূলের প্রার্থী। তাঁদের হয়ে প্রচারও চালাবেন বলে জানিয়েছিলেন বিশ্বনাথবাবু। তবে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অনেকের দাবি, এখনই বিশ্বনাথবাবু দল পাল্টালে বা তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হলে দলবিরোধী আইনে পড়তে হতে পারে তাঁকে।

এ দিন অবশ্য এই ঘটনার পরে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের জেলা শিল্পাঞ্চল সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিশ্বনাথবাবুর ভাবগতি সন্দেহজনক। উনি দলত্যাগ করে, যা করার করুন। উনি পরিষ্কার করে বলুন, কোন দলে আছেন। কার্যালয়ের এমন ভোলবদলের বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে।’’

তবে দেবেশবাবু এ দিন দাবি করেন, ওই কার্যালয়টি আসলে তৃণমূলেরই। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে জেতার পরে সেখানে কিছুদিন কংগ্রেসের পতাকা লাগিয়েছিলেন বর্তমান বিধায়ক। পুলিশ তা তালা মেরে দেয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে।

এ দিন অবশ্য বারবার চেষ্টা করেও বিধায়কের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE