সব টাকা যায় কাঞ্চননগর-রথতলা মাঠে! বর্ধমান পুরসভার অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় এমন অভিযোগ।
এ মাসের গোড়ায় তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের কাছে উন্নয়নের টাকার বৈষম্য নিয়ে বেশ কিছু কাউন্সিলর অভিযোগ করেন। তবে সেখানেই আশ্বাসের বেশি কিছু মেলেনি। এমনকী, অভিযোগ জানানোর পরেও উন্নয়নের বেশির ভাগ টাকাই কাঞ্চননগর, রথতলা এলাকার দুটি ওয়ার্ডে খরচ হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি। এ বার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি পরেশ সরকার, সুশান্ত প্রামাণিকের নেতৃত্বে ৭-৮জন কাউন্সিলর পুর উন্নয়নের বৈষম্য, পুরপ্রধানের আচরণ নিয়ে অভিযোগ করেন। জেলাশাসক তাঁদের জানিয়েছেন, যে কোনও সমস্যায় কাউন্সিলররা তাঁর কাছে আসতে পারেন। তবে, পুরসভা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ম মেনে তিনি পুরপ্রধানের সঙ্গেই কথা বলবেন।
অভিযোগকারী কাউন্সিলরদের দাবি, শহরে ৮টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। তাঁর মধ্যে ৫টিই ওই দুটি ওয়ার্ডে। দলীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁদের অভিযোগ, শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডে উন্নয়নে সমবন্টন হচ্ছে না। বেশির ভাগ টাকাই যাচ্ছে ওই দুই ওয়ার্ডে। কাউন্সিলরেরা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বর্ধমানের পুরপারিষদ (পূর্ত দফতর) খোকন দাস নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাঁর এলাকা কাঞ্চননগর-রথতলায় পুরসভার টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, গত বছর অক্টোবর থেকে এ বছরের মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ধমানের ৩৩টি ওয়ার্ডে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৮৭৯ টাকা। সেখানে ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ২২ হাজার ৯২৩ টাকা। বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থাও ওই দুটি ওয়ার্ডে ২ কোটি টাকা খরচ করেছে। কাউন্সিলর পরেশবাবুর অভিযোগ, “পুরসভার তেত্রিশটি ওয়ার্ডকে বঞ্চিত করে রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন। বাকি ওয়ার্ডেও উন্নয়ন চাই।’’
তবে খোকনবাবুর দাবি, “অনেকের চেয়ে আমার এলাকা পুর উন্নয়নের টাকা কম পেয়েছে। আমি বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুমোদন করিয়ে এলাকার উন্নয়ন করেছি।” পুরপ্রধান স্বরূপ দত্তেরও দাবি, “পুরসভায় উন্নয়নের দাবিদাওয়া পেশ করার বদলে বিরোধীতা করেই কয়েকজনের দিন কেটেছে। এলাকায় উন্নয়ন করতে পারেননি। তাই গায়ে জ্বালা ধরছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy