মেয়েকে নিয়ে তালিতের হোমে যশ দম্পতি। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
মেয়ের প্রথম জন্মদিন। আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেননি বাবা-মা। কেক কাটা থেকে দেদার খাওয়া-দাওয়া, হল সব কিছুই। তবে নিজেদের বাড়িতে বসে নয়। আনন্দ ভাগ করে নিতে সব আয়োজনই করলেন একটি হোমে। সামিল করলেন সেখানকার ৩০-৩৫ জন শিশুকে।
বাড়ি সাজিয়ে বা রেস্তোরাঁয় গিয়ে ছেলেমেয়ের জন্মদিনের আয়োজন করছেন বাবা-মা, এমন ছবি দেখা যায় অহরহই। কিন্তু বর্ধমানের বাসিন্দা অভিরূপ যশ ও পায়েল যশ মেয়ে অনংশার জন্মদিন পালনের জন্য সোমবার পৌঁছে যান তালিতের বেসরকারি হোমটিকে। সেখানে রয়েছে অনাথ বা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বেশ কিছু শিশু। অভিরূপবাবু বলেন, ‘‘কোনও হোম বা অনাথ আশ্রমে মেয়ের জন্মদিন পালনের ইচ্ছে ছিল। সে জন্য চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির অনুমতি নিই। তারা এই হোমে পালনের অনুমতি দেন। এতগুলি শিশুর আনন্দে শরিক হতে পেরে ভাল লাগছে।’’
এ দিন সকালে অনংশার জন্মদিন পালনের জন্য হোম সাজা হয় বেলুন দিয়ে। শিশুদের মধ্যেও ছিল বেশ উৎসাহ। সকাল ১১টা নাগাদ ঠাকুমা মালা ও বাবা-মায়ের সঙ্গে হোমে আসে অনংশা। তার পরে মোমবাতি জ্বেলে কেক কাটা হয়। দুপুরের খাওয়ায় ছিল ভাত, ডাল, আলুভাজা, ফুলকপির তরকারি, মাংস, চাটনি, পাঁপড় ও রসগোল্লা। মালাদেবী জানান, নাতনির মঙ্গল কামনা ও এই শিশুদের মুখে একটু হাসি ফোটাতেই এই আয়োজন। খুদে দাদা-দিদিদের মাঝে হেসে চলে অনংশাও।
হোমের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এমন উদ্যোগে আমরা খুশি। এ ভাবে আরও অনেকে এগিয়ে এলে এই শিশুগুলিও আনন্দের অংশীদার হতে পারবে।’’ অনুষ্ঠান শেষে যাওয়ার সময়ে পায়েলদেবী জানান, মেয়ের প্রতিটি জন্মদিন এ ভাবে পালন করতে চান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy