মাথা ফাঁকাই। নিজস্ব চিত্র
শাসক হোক বা বিরোধী, দলের মোটরবাইক মিছিলে মাথা খালি রেখেই সামিল হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকেরা। রাজ্য জুড়ে যখন ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রচারে হেলমেট পরার কথা বলা হচ্ছে, তখন রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই চোখে পড়ছে সচেতনতার অভাব। রবিবার দুর্গাপুরে সিপিএমের মোটরবাইক মিছিলে হেলমেট ছাড়াই সামিল হলেন অনেকে।
গত বছর বিধানসভা ভোটের প্রচারে দুর্গাপুরে তৃণমূলের নানা মিছিলে বিনা হেলমেটের বাইক-আরোহী নজরে পড়েছে। গত অক্টোবরে কমলপুরে রাজ্যের অনগ্রসর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর সভায় বিনা হেলমেটে মোটরবাইক নিয়ে হাজির হন শাসক দলের কর্মী-সমর্থকেরা। মোটরবাইক মিছিল করে মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় কমলপুরে। পিছনে বসা সঙ্গীর হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফে’র প্ল্যাকার্ড। অথচ, চালকের মাথায় হেলমেট নেই— এই দৃশ্যও দেখা গিয়েছিল। মিছিলের সামনের গাড়িতে বসে থাকা মন্ত্রীকেও সিটবেল্ট বাঁধতে দেখা না যাওয়ায় শাসকদলেরই অনেকে আক্ষেপ করেছিলেন, পথ সচেতনতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দলের একাংশই মানছেন না। এ দিন সিপিএমের মোটরবাইক মিছিলেও দেখা গেল তেমন ছবি।
ক্ষমতা প্রদর্শন ও কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতেই এ দিনের মিছিলের আয়োজন, দাবি সিপিএমের একাংশের। যদিও প্রচারে তাঁরা কল-কারখানা গড়া, সময়ে পুরভোট, সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলার দাবিতেই মোটরবাইক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। ডিভিসি মোড়ের কাছে বি-২ মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়। ঝড়বৃষ্টির জন্য নির্ধারিত যাত্রাপথ খানিকটা কমানো হয়। মিছিলের সামনে ছিলেন অন্যতম উদ্যোক্তা দলের দুর্গাপুর ২ পূর্ব জোনাল সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার। তাঁকেও হেলমেট ছাড়াই মোটরবাইক সওয়ার হতে দেখা যায়। আরও অনেকের মাথায় হেলমেট ছিল না। পরে পঙ্কজবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমি হেলমেট পরেছিলাম। মাঝে শুধু এক বার খুলেছিলাম।’’
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হেলমেটহীন বাইক-আরোহীদের ক্ষেত্রে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। পুলিশের যদিও দাবি, নজরে পড়লেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy