Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘বুথ রিপোর্টার’ ভরসা সিপিএমে

সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্যের দাবি, ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে হোয়াটসঅ্যাপ-সহ নানা সোশ্যাল মিডিয়ায় রিপোর্টার-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। প্রতিটি জেলা কেন্দ্রে বিশেষ দলের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দেখে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:২৮
Share: Save:

সাম্প্রতিক কয়েকটি ভোটের ফলে দেখা গিয়েছে, সাফল্যের হার তলানিতে। অতীতে বেশ কিছু ভোটে নেতৃত্বের পথে না নামা নিয়েও দলের নিচুতলায় ক্ষোভ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ‘সন্ত্রাস’ হোক বা নির্বাচনী খুঁটিনাটি, সব খবর তথ্য-সহ দ্রুত পেতে বুথ পিছু ‘সোশ্যাল মিডিয়া রিপোর্টার’-কর্মী তৈরিতে নির্দেশ দিয়েছে সিপিএমের রাজ্য কমিটি।

সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্যের দাবি, ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে হোয়াটসঅ্যাপ-সহ নানা সোশ্যাল মিডিয়ায় রিপোর্টার-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। প্রতিটি জেলা কেন্দ্রে বিশেষ দলের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দেখে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়। তার পরে প্রশাসনের কাছে তথ্য-সহ অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই ‘সাফল্য’ দেখেই এখন বুথ পিছু দু’জন করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী কর্মী বাছাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে সিপিএমের পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্মেলনেও আলোচনা হয়েছে।

সিপিএম সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে পূর্ব বর্ধমানের অধিকাংশ জায়গায় ‘বুথ রিপোর্টার’ বাছাইয়ের কাজ প্রায় শেষ। তবে কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোটের মতো ‘সন্ত্রস্ত’ ও বর্ধমান শহরের মতো সাংগঠনিক ভাবে ‘দুর্বল’ এলাকায় প্রতিটি বুথে ‘রিপোর্টার’ নিয়োগ করা যায়নি বলে সিপিএম সূত্রের খবর। তবে সেখানে রাজ্য কমিটির কথামতো পঞ্চায়েত বা কয়েকটি ওয়ার্ড নিয়ে দু’জন করে ‘বুথ রিপোর্টার’ রয়েছেন। এই বিষয়টির দায়িত্বে থাকা সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য উদয় সরকার বলেন, ‘‘কর্মশালা করে কী ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে হবে, তা জানানো হয়েছে।’’

বিষয়টি নিয়ে কিছু প্রশ্নও উঠেছে। যেমন, সাম্প্রতিক অতীতে দুর্গাপুর পুরভোটের দিন শাসক দলের সন্ত্রাস নিয়ে সরব হয় সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু সিপিএম সূত্রের খবর, দলের অন্দরে কর্মীদের একাংশ প্রশ্ন তোলেন, শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সক্রিয়’ থাকতে দেখা গিয়েছে নেতৃত্বকে। কিন্তু পথে নামতে দেখা যায়নি।

যদিও এই ধরনের পদক্ষেপে বেশ কিছু সুবিধাও মিলতে পারে বলে সিপিএম নেতৃত্বের ধারণা। তাঁদের দাবি, প্রথমত, জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দ্রুত খবর পাওয়ার ‘নেটওয়ার্ক’ তৈরি করা যাবে। দ্বিতীয়ত, তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশি করে পৌঁছনো সম্ভব হবে। তৃতীয়ত, নানা ‘ছোট’ ঘটনা যা পুলিশ-প্রশাসন অনেক সময়ে গুরুত্ব দেয় না বলে অভিযোগ, সে সব ছবি-সহ তথ্য তুলে ধরা যাবে।

তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের কটাক্ষ, “সিপিএম শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই রয়েছে। মানুষের পাশে আছি আমরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE