কাটোয়া স্টেশন বাজারে বিজেপির সভায় দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি করায় মারধর করা হয়েছে পাঁচ জনকে, কাটোয়ায় অভিযোগ করলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলকোটের খেড়ুয়ায় শনিবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দু’জন। এই ঘটনায় তৃণমূল এবং বিজেপি পরস্পরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে। এ দিন কাটোয়া স্টেশনবাজারের সভায় সে নিয়েই সরব হন দিলীপবাবু।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খেড়ুয়ায় শনিবার রাতে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে যাত্রার প্রস্তুতি চলছিল। সেখানে রান্নার দেখভাল করছিলেন তপন ঘোষ, মাখন মাঝি, বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়েরা। অভিযোগ, সেই সময়েই জনা দশেকের একটি দল তাঁদের উপরে হামলা চালায়। আহত হন তপনবাবু ও মাখনবাবু। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এলাকার একটি সূত্রের দাবি, বছর কয়েক আগে গ্রামে খুন হন পূর্ণিমা মাঝি। মাখনবাবু তাঁর ছেলে। তিনি ও তপনবাবু ওই ঘটনায় সাক্ষ্য দেবেন। সামনেই সাক্ষ্যের তারিখ রয়েছে। অভিযোগ, ওই মামলায় অভিযুক্ত চরণ মাঝির নেতৃত্বেই শনিবার রাতে হামলা চালানো হয়। বিশ্বজিৎবাবু থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানায়, চরণ-সহ আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার আদালত ধৃতদের ১৪ দিন জেল-হাজতে পাঠায়।
মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর দাবি, ‘‘বিজেপির লোকজন আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। বিজেপির কেউ জখম হয়নি।’’ বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূলের লোকজন তাদের দলের কর্মীদের মারধর করেছে। দিলীপবাবুর অভিযোগ, ‘‘পাঁচ কর্মী আমাদের ঝান্ডা ধরেছেন। তাই তাঁদের মারধর করা হয়েছে।’’
এ দিন কাটোয়ার সভায় দিলীপবাবু আরও অভিযোগ করেন, ‘‘কার্তিক লড়াইয়ের দিন বিধায়কের সামনেই পুলিশ আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। কংগ্রেসের বিধায়ক তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে এখন পুলিশ দিয়ে পেটাচ্ছেন।’’ খাগড়াগড়-কাণ্ড থেকে কয়লা-বালির অবৈধ কারবার, সব কিছু নিয়েই সরব হন তিনি। ছিলেন দলের নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘কার্তিক লড়াইয়ের দিন কোনও সংঘর্ষ হয়নি। সব শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছিল। এখন রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে কেউ-কেউ নানা কথা বলছেন। আর আমি কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেও ভোটে জিতে দেখিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy