বর্ধমানে মুকুল রায়। নিজস্ব চিত্র।
তিনি ন’বারের কাউন্সিলর। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়িয়ে পড়েছেন সমীর রায়। সেই সমীর-কাঁটা সামলাতে এ বার আসরে নামতে হল মুকুল রায়কেও। তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার বর্ধমানে পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে মুকুলবাবু বার্তা দেন, দলের কেউ যেন দলত্যাগী নেতার দিকে না ঝোঁকেন।
সারদা কাণ্ড পরবর্তী সময়ে ফের শহরে পা দিলেন মুকুলবাবু। সন্ধ্যা সোওয়া ৭টা জিটি রোডের ঢলদিঘি এলাকার পেট্রোল পাম্প লাগোয়া একটি বিয়েবাড়িতে পৌঁছন মুকুলবাবু। মুকুলবাবুর আসার খবর পেয়ে ততক্ষণে বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিয়েবাড়িতে এসেই দলের কয়েকজন নেতা ও কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি ঘরে বৈঠক করতে ঢুকে যান মুকুলবাবু। তারপরেই মুকুলবাবুর সঙ্গে দেখা করার জন্য বাইরে থাকা নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক হুড়োহুড়ি। দু-এক জনকে অল্পবিস্তর হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। শেষমেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মুকুলবাবু। দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মুকুলবাবু বিধানসভা ভোটে একজোট হয়ে কাজ করার বার্তা দেন বলে খবর।
এরপর ফের শহরের ৩৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে ফের বৈঠকে বসেন মুকুলবাবু। প্রত্যাশিত ভাবেই সমীরবাবুকে সেই বৈঠকে দেখা যায়নি। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, বৈঠকে মুকুলবাবু কাউন্সিলরদের জানান ওই দলত্যাগী কাউন্সিলরকে বোঝানোর জন্য স্বয়ং দলনেত্রী ফোন করেছিলেন। ওই সূত্রের দাবি, সমীরবাবুকে মুকুলবাবু ও অন্যান্য শীর্ষ নেতারাও ফোন করেছিলেন।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, মুকুলবাবু বৈঠকে বার্তা দেন যাতে কেউ সমীরবাবুর দিকে না ঝোঁকেন, সে দিকে নজর রাখতে হবে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার মুখে মুকুলবাবু বলেন, ‘‘মনোনয়ন পত্র পরীক্ষা হওয়ার পর দল সমীর রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ভোটে কী ভাবে আরও বেশি ভোটে জিততে পারি আমরা, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
যদিও এ সব বার্তায় বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ বর্ধমান দক্ষিণের নির্দল প্রার্থী সমীরবাবু। এ দিন সমীরবাবু বলেন, ‘‘অনেকেই ফোন করেছিলেন। তৃণমূল পুরনো কর্মীদের সম্মান না দেওয়াতেই প্রার্থী হয়েছি।’’ ইতিমধ্যেই প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy