Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডাম্পার থেকে উপচে পড়ে কয়লার গুঁড়ো

বারাবনি ব্লক প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, সালানপুরের মোহনপুর ও বারাবনির গৌরাণ্ডি খনি থেকে ফি দিন কয়েক হাজার টন কয়লা ডাম্পারে চাপিয়ে পরিবহণ করা হয়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৭ ০১:২২
Share: Save:

খনি থেকে বাড়তি কয়লা বোঝাই করে ছুটছে ডাম্পার। এর জেরে প্রায়শই কয়লার টুকরো ছিটকে জখম হচ্ছেন পথচারীরা। এই অভিযোগে বুধবার কয়েক জন ডাম্পার চালকের সঙ্গে বচসা বেধেছিল বারাবনির ইটাপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। তাঁদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে বারবার ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। সমস্যা সমাধানে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরেও চিঠি পাঠিয়েছেন।

বারাবনি ব্লক প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, সালানপুরের মোহনপুর ও বারাবনির গৌরাণ্ডি খনি থেকে ফি দিন কয়েক হাজার টন কয়লা ডাম্পারে চাপিয়ে পরিবহণ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাম্পারগুলি লালগঞ্জ পাঁচগাছিয়া রোড ধরে দু’নম্বর জাতীয়
সড়কে ওঠে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিটি ডাম্পারই নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি কয়লা চাপিয়ে পরিবহণ করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, চলন্ত ডাম্পার থেকে কয়লা ছিটকে পথচারীরা জখম হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ডাম্পারগুলি আঢাকা অবস্থায় কয়লা পরিবহণ করছে। ফলে কয়লার গুঁড়ো ছড়িয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দূষণ ছড়াচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটির দু’ধারে আমডিহা, বালিয়াপুর, লালগঞ্জ, আসনবনি-সহ প্রায় কুড়িটি গ্রাম রয়েছে। রয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। রাস্তা লাগোয়া এলাকায় প্রায় সাতটি প্রাথমিক ও হাইস্কুল রয়েছে। পড়ুয়া থেকে গ্রামবাসী, সকলেরই যাতায়াতের পথ এটিই। ডাম্পারের দাপটে ফি দিনই তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

উৎপল কর্মকার-সহ একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘বহু বার ব্লক প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কারও হেলদোল নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি আমরা।’’

স্থানীয় বালিয়াপুর তারাপদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পল্লবনারায়ণ রায় বলেন, ‘‘ওই রাস্তাটি দিয়ে প্রতি দিন যাতায়াত করে আমাদের স্কুলের পড়ুয়ারা। চিন্তা হয়, কোন দিন না বিপদ ঘটে। উপযুক্ত ব্যবস্থার নেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।’’

যদিও ইটাপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান উত্তম মাজির দাবি, শারদ-মরসুম শেষ। এ বার জোরদার অভিযানে নামা হবে। বিডিও (বারাবনি) অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, ‘‘এলাকাবাসী আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। রসুনপুর কাপিষ্ঠাতেও এমন সমস্যা রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পরিবহণ দফতরকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত অভিযানে নামা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE