চলছে সাজ তৈরি। নিজস্ব চিত্র
দেবীকে সাজাতে কেউ খোঁজেন শোলার সাজ, কেউ বা ঝলমলে জরির সাজ। কালনা ও তার আশপাশের এলাকায় দুই সাজই তৈরি করেন একাধিক শিল্পী। কিন্তু পুজো দোরগড়ায় হলেও জিএসটি এবং নোট বাতিলের সাজের চাহিদা অনেকটাই কম বলে দাবি তাঁদের।
শিল্পীরা জানান, সারা বছর ধরেই কারখানায় প্রতিমার সাজ তৈরি হয়। কাচ, জরি, পুঁতি, পাথর, আঠা, কাগজ-সহ নানা সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয় সাজ। কালনার নানা কারখানা থেকে হাজার দশেক দুর্গা প্রতিমার সাজ যায় দেশের নানা প্রান্তে। অনেকে কারখানায় এসে আগেভাগে সাজের বরাত দিয়ে যান। আবার কেউ কেউ দূর থেকে এসে পছন্দ করে নিয়ে যান সাজ। শিল্পীরা জানান, প্রতিমার মুকুট, চেলি, কানপাশা, চিক, আঁচলের মতো নানা অংশ আলাদা আলাদা ভাবে তৈরি হয়। পরে সব জড়ো করে বাক্সবন্দি করে পাঠানো হয়। পুজোর মাস তিনেক আগে থেকেই শুরু হয় সাজ বিক্রি। বেচাকেনা চলে জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত। পাঁচশো থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত দর থাকে দুর্গা প্রতিমার সাজের। শিল্পীদের দাবি, এ বার কালনার সাজের বেশির ভাগই গিয়েছে কুমোরটুলি, চন্দনগর, চুঁচুড়ায়। বড়মিত্রপাড়ার একটি কারখানার সাজ পৌঁছেছে মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ত্রিপুরায়।
শিল্পীদের দাবি, শেষ দিকে কিছুটা চাহিদা বাড়লেও প্রথমে সাজের বাজার ছিল মন্দা। জিএসটি রেজিস্ট্রেশন না থাকায় বহু ব্যবসায়ীই এ বার সাজ কেনেননি। বড়মিত্রপাড়ার এক কারখানার মালিক অমর পাল বলেন, ‘‘জিএসটি-র বিষয়টি বুঝে রেজিস্ট্রেশন করার আগেই পুজোর বাজার শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই সেই সময় জিএসটি নম্বর পাননি। আর এখন সাজের চাহিদা কিছুটা বাড়লেও তৈরির সময় নেই।’’ তাঁর দাবি, সাজ তৈরির উপকরণ অল্পবিস্তর মজুত থাকায় পুজোর বাজার কিছুটা সামাল দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু এখন জিনিসের যা দর বেড়েছে তাতে পরের বার কী হবে সেটাই চিন্তার। আর এক কারখানার মালিকের দাবি, এ বার সাজ বিক্রির পরিমাণ গত বারের থেকে অন্তত ১৫ শতাংশ কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy