Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাধায় হাজার কোটি লোকসান, ক্ষুব্ধ ইসিএল

আন্দোলনে বারবার বাধা পাচ্ছে কাজ। ফলে, বাড়ছে ক্ষতির অঙ্ক। নানা এলাকায় খনির কাজ এ ভাবে ব্যাহত হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, এলাকাবাসীর আন্দোলনে বাধা পেয়ে গত ছ’মাসে সংস্থার প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী
অন্ডাল শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৯
Share: Save:

আন্দোলনে বারবার বাধা পাচ্ছে কাজ। ফলে, বাড়ছে ক্ষতির অঙ্ক। নানা এলাকায় খনির কাজ এ ভাবে ব্যাহত হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, এলাকাবাসীর আন্দোলনে বাধা পেয়ে গত ছ’মাসে সংস্থার প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে, সরকারের রাজস্বও কমবে। প্রশাসনিক সহায়তা ছাড়া কাজ চালিয়ে যাওয়া সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানান ইসিএলের আধিকারিকদের একাংশ।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দা এরিয়ার নিউকেন্দা খোলামুখ খনিতে ছ’মাসে প্রায় বারো বার বেশি বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। পুনর্বাসন-সহ কিছু দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তার জেরে সেখানে ১০ শতাংশ কাজও এগোয়নি। সম্প্রতি জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি ওই এলাকায় গেলে বাসিন্দারা দাবির কথা জানান।

পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি প্রকল্পও সম্প্রসারণ বাধা পাচ্ছে। ইসিএলের আধিকারিকেরা জানান, প্রকল্প লাগোয়া বিলপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন, তাঁদের পুনর্বাসন না দেওয়া পর্যন্ত কাজ করতে দেওয়া হবে না। এই একই দাবিতে এক দল বাসিন্দার আন্দোলনের জেরে বাঁকোলা এরিয়ার পুরুষোত্তমপুরে খোলামুখ খনি চালুই করা যায়নি। কাজোড়া এরিয়ার জামবাদ খোলামুখ খনি সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, জামবাদে ১৭০টি পরিবার ইসিএলের জায়গা দখল করে বাস করছে। তারাও পুনর্বাসনের দাবি তুলেছে, যা সংস্থার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।

ইসিএলের এক আধিকারিক দাবি করেন, বিলপাহাড়ি গ্রামে কয়লা কাটা শুরু করতে এখনও পাঁচ বছর সময় লাগবে। সে কথা মানতে চাইছেন না গ্রামবাসীরা। পুরুষোত্তমপুরেও বছর দুয়েকের আগে জনপদে কোনও সমস্যা তৈরি হবে না। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নিলাদ্রি রায় জানান, প্রতিদিন খোট্টাডিহিতে ৫ হাজার, নিউকেন্দা ও জামবাদে ৪ হাজার করে ও পুরুষোত্তমপুরে এক হাজার টন কয়লা কাটা যাচ্ছে না। সেই হিসেব অনুযায়ী, দিনে ৭ কোটি টাকা, অর্থাৎ ছ’মাসে হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়ে গিয়েছে সংস্থার। এর জেরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের রাজস্বেরও ক্ষতি হচ্ছে।

নীলাদ্রিবাবু দাবি করেন, “জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের কর্তাদের বারবার জানাচ্ছি, প্রশাসন সহযোগিতা না করলে ওই সব এলাকায় কাজ করা যাবে না। তাতে প্রচুর ক্ষতি হবে সংস্থার। পুনর্বাসনের দায়িত্ব আমাদের নয়, এটা আন্দোলনকারীরা বুঝছেন না।” জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি বলেন, ‘‘আমার কাছে ইসিএলের তরফে কোনও আবেদন করা হয়েছে কি না, খোঁজ নিয়ে দেখছি। দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ECL loss local protests Andal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE