Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুকনো এলাকায় জল দিতে প্রকল্প ইসিএলের

খনি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিত্যক্ত কয়লা খাদানের জল পাম্পের সাহায্যে তুলে পরিশোধন করে সরবরাহ করা হবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে। সে জন্য প্রায় তিরিশ লক্ষ টাকা খরচ করে নিঘা কোলিয়ারির কাছে একটি আরও প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। আধিকারিকেরা জানান, এলাকার প্রায় কুড়ি হাজার বাসিন্দা এই প্ল্যান্টের পরিশোধিত জল পাবেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ০২:৪৬
Share: Save:

শুকনো এলাকার বাসিন্দাদের পানীয় জল সরবরাহ করতে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলক সংস্থা ইসিএল। সে জন্য শ্রীপুর এরিয়ার নিঘা কোলিয়ারি লাগোয়া এলাকায় একটি পাইলট প্রজেক্টও তৈরি করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা। খনি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পটি সফল হলে আরও কিছু এলাকায় ‘রিভার্স অসমোসিস’ (আরও) প্ল্যান্ট বসিয়ে পানীয় জল সরবরাহে উদ্যোগ হবে।

খনি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিত্যক্ত কয়লা খাদানের জল পাম্পের সাহায্যে তুলে পরিশোধন করে সরবরাহ করা হবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে। সে জন্য প্রায় তিরিশ লক্ষ টাকা খরচ করে নিঘা কোলিয়ারির কাছে একটি আরও প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। আধিকারিকেরা জানান, এলাকার প্রায় কুড়ি হাজার বাসিন্দা এই প্ল্যান্টের পরিশোধিত জল পাবেন। গ্রামগুলির একাধিক জায়গায় ছোট-ছোট কিয়স্ক তৈরি করে পাইপলাইনের সংযোগ জুড়ে দেওয়া হবে। বাসিন্দারা সেখান থেকে জল সংগ্রহ করবেন।

সম্প্রতি এই পাইলট প্রজেক্টের কাজ ঘুরে দেখেছেন ইসিএলের ডিরেক্টর (পার্সোনেল) কেএস পাত্র। তিনি জানান, শীঘ্রই এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। ইসিএলর সামজিক দায়িত্ব পালন প্রকল্পের তহবিলের টাকায় সেটি তৈরি করা হয়েছে। সংস্থার সিএমডি সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শুষ্ক গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। তা সফল হলে আরও কিছু জায়গায় পরিত্যক্ত খাদানের জল কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’ ইসিএলের আধিকারিকদের আরও দাবি, কেন্দ্রের ঘরে-ঘরে পানীয় জল পৌঁছনোর পরিকল্পনার পরেই এই উদ্যোগ হয়েছে।

সংস্থা সূত্রে জানা যায়, পরিত্যক্ত খাদানের জল আগেও নানা কাজে ব্যবহারের উদ্যোগ হয়েছে। বিভিন্ন খনি এলাকা লাগোয়া অঞ্চলে বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য প্রতিদিন প্রায় ছয় কোটি গ্যালন জল পাইপে সরবরাহ করা হচ্ছে। সালানপুরের আলকুষা, বারাবনির ইটাপাড়া-সহ প্রায় ১১টি প্রকল্প থেকে ১০১টি গ্রামের প্রায় ৯০ হাজার উপভোক্তা পরিশোধিত জল ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন। খনি অঞ্চলের নানা গ্রামে প্রতি বছর প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি গ্যালন অপরিশোধিত জল কৃষিকাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানান আধিকারিকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE