Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

‘ডোনেশন’ না মেলায় হামলা

বর্ধমানের বড়নীলপুরের বাসিন্দা, স্কুল-শিক্ষক তন্ময় কর অভিযোগ করেন, টাকা দিতে না চাওয়ায় শুক্রবার রাতে তাঁর বাড়িতে আবর্জনা ও অ্যাসিড মেশানো রং ছুড়ে ভয় দেখানো হয়েছে। শনিবার বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন তিনি।

এ ভাবেই হেনস্থা। নিজস্ব চিত্র

এ ভাবেই হেনস্থা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:২০
Share: Save:

বছর দু’য়েক আগে বাড়ি কেনার সময়ে মোটা টাকার ‘ডোনেশন’ চেয়েছিল ক্লাব। শাসকদলের নেতাদের ব্যাপারটা জানানোয় তখনকার মতো রক্ষা হয়েছিল। কিন্তু ফের ‘ডোনেশন’-এর টাকা আদায়ের জন্য জুলুম শুরু করেছে ক্লাবের কিছু সদস্য— এমনই অভিযোগ বাড়ির মালিকের।

বর্ধমানের বড়নীলপুরের বাসিন্দা, স্কুল-শিক্ষক তন্ময় কর অভিযোগ করেন, টাকা দিতে না চাওয়ায় শুক্রবার রাতে তাঁর বাড়িতে আবর্জনা ও অ্যাসিড মেশানো রং ছুড়ে ভয় দেখানো হয়েছে। শনিবার বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন তিনি। তন্ময়বাবু বলেন, ‘‘স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি!’’ যদিও অভিযোগ উড়িয়ে ক্লাবের সদস্যদের দাবি, তাঁরা কোনও টাকা চাননি।

আদতে কালনার বাসিন্দা তন্ময়বাবু ২০১৫ সালে বড়নীলপুরের বাড়িটি কিনে বাস শুরু করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তখন স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যেরা আড়াই লক্ষ টাকা ‘ডোনেশন’ চায়। দু’হাজার টাকা দিতে রাজি ছিলাম। ওরা তা নিতে চায়নি।’’ তাঁর ভাই পার্থসারথি কর জানান, তৃণমূলের নেতাদের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই ক্লাবে নতুন পরিচালন কমিটি তৈরি হয়েছে। তার পরেই ফের ‘ডোনেশন’ আদায়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। তন্ময়বাবুর দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুজোর চাঁদার বিল দিতে তাঁর বাড়িতে যান ক্লাবের নতুন সম্পাদক সন্তোষ রায়। সন্তোষবাবু তন্ময়বাবুর স্ত্রী শ্রাবণীদেবীকে জানান, বাড়ি কেনার জন্য ‘ডোনেশন’ বাকি রয়েছে। তন্ময়বাবু যেন ক্লাবে গিয়ে দেখা করেন। তিনি না যাওয়ায় শুক্রবার ফের বাড়িতে এসে ক্লাবের কিছু লোক আড়াই লক্ষ টাকা চেয়ে শাসিয়ে যায় বলে অভিযোগ। রাতে বাড়িতে রং ছোড়া হয়।

পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এ দিন সন্ধ্যায় ক্লাবের সদস্যেরা পুলিশকে লিখিত ভাবে জানান, তাঁরা তন্ময়বাবুর কাছে কোনও টাকা চাননি। হামলাতেও তাঁরা যুক্ত নন। ক্লাবের সম্পাদক সন্তোষবাবুর বক্তব্য, ‘‘পুরনো কমিটি কী করেছে, তা বলতে পারব না। আমরা কাউকে ডোনেশনের জন্য চাপ দিইনি।’’

স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পম্পা পাল বলেন, ‘‘কাদের মদতে ক্লাবের কিছু লোক এ ভাবে টাকা দাবি করার সাহস পাচ্ছে, তা পুলিশকে জানিয়েছি। আমরা তন্ময়বাবুদের পাশে রয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE