স্বজনহারা: মেয়েকে হারিয়ে কান্না মায়ের। নিজস্ব চিত্র
কেউ যাবেন বিয়েবাড়ি, কেউ জলসায়। কিন্তু বাসের দেখা নেই। অগত্যা মোটরচালিত ভ্যানেই উঠেছিলেন ন’জন। কিছু দূর যেতেই ম্যাটাডরের ধাক্কায় উল্টে যায় ভ্যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই শিশু-সহ চার জনের। আহত হয়েছেন আরও তিন জন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ কাটোয়ার গড়াগাছা বাসস্ট্যান্ডের কাছে এসটিকেকে রোডের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে এক জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিনা খাতুন (৩) ও তার বাবা মহম্মদ শেখের (৩০) বাড়ি কাটোয়ার পলতাগাছি এলাকায়। ওকড়সায় একটি বিয়েবাড়ি যাচ্ছিলেন তাঁরা। আহত হয়েছেন মা যুবালি বিবিও। আর এক শিশু সোলেমান শেখ (৭) বাবার সঙ্গে পূর্বস্থলীর খড়দত্তপাড়ায় একটি ধর্মীয় জলসায় যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় খবির শেখ প্রাণে বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয় তাঁর ছেলের। মৃত্য হয়েছে ভ্যানচালক, খড়দত্তপাড়ার বাসিন্দা ইন্তাজুল শেখেরও (২৫)। বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে আর এক আহত আর্জিনা বিবিকে। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সড়কে টোটো, ভ্যান চলা নিষেধ হলেও কী ভাবে নজর এড়িয়ে চলছে সেগুলি। বেলাগাম ভ্যান চলায় আগেও দুর্ঘটনা হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।
কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি আহতদের দাবি, এসটিকেকে রোডে আলো নেই। তার মধ্যেও ভ্যানটি বেশ জোরেই ছুটছিল। কাটোয়ামুখী ম্যাটাডরটিও বেশ জোরেই আসছিল। কিছু বোঝার আগেই মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। মুহূর্তে ভ্যানটি উল্টে যায়। ম্যাটাডরের চাকায় পিষেও যান কেউ কেউ। কাটোয়া হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy