Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রায় তৈরি ফেজ-২

পুরনো শিল্পতালুক সংস্কারে নজরের দাবি কর্তার কাছে

নতুন শিল্পতালুক গড়ার বদলে পুরনোগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দেওয়া প্রয়োজন— ক্ষুদ্র শিল্প সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে দাবি জানালেন শিল্পদ্যোগীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০৩
Share: Save:

নতুন শিল্পতালুক গড়ার বদলে পুরনোগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দেওয়া প্রয়োজন— ক্ষুদ্র শিল্প সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে দাবি জানালেন শিল্পদ্যোগীরা। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে ওই অনুষ্ঠানে শহরের ‘স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি কৃপাল সিংহ দাবি করেন, ‘‘পরপর কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পুরনো শিল্পতালুকগুলির পরিকাঠামো বেহাল। সে দিকে আগে নজর দেওয়া দরকার।’’

দুর্গাপুরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য নতুন এক শিল্পতালুক গড়ার কাজ প্রায় শেষের দিকে। মোট ৫৮টি প্লটের মধ্যে ৫০টি তৈরি করে ফেলা হয়েছে বলে এ দিন দুর্গাপুরে জানান রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান কর্নেল সব্যসাচী বাগচি। তা শুনে কৃপাল সিংহের প্রশ্ন, ‘‘জমির চাহিদা কোথায়?’’

এ দিন ওই অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচীবাবু বলেন, ‘‘এখন দেশের রফতানিযোগ্য শিল্পের ৪০ শতাংশ আসে ক্ষুদ্র শিল্প থেকে। তা বাড়ানোর বহু সুযোগ আছে। ফলে কর্মসংস্থানেরও বিপুল সুযোগ তৈরি হবে।’’ পরে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, রাজ্যে ক্ষুদ্র শিল্পদ্যোগীদের জন্য পরিকাঠামো-সহ মোট ৫০০ প্লট গড়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকে জমি নিয়েও নিয়েছেন। তবে জলপাইগুড়ি ও মুর্শিদাবাদে জমির চাহিদা বেশ কম বলে জানান তিনি।

ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে এক জনসভায় ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে দুর্গাপুরে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ফেজ ২’ গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুর স্টেশনের কাছে বন্ধ পড়ে থাকা উড ইন্ডাস্ট্রিজের ১৩.৪৮ একর জমিতে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন শিল্পতালুক গড়া হয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পদ্যোগীদের সেখানে জমি পাওয়ার কথা। প্রশাসন সূত্রের খবর, শিল্পতালুকের পরিকাঠামো গড়ার কাজ প্রায় শেষ। ৫০টি প্লট শিল্পদ্যোগীদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে এ দিন সব্যসাচীবাবু জানান।

শিল্পদ্যোগীদের অবশ্য অভিযোগ, পুরনো শিল্পতালুকগুলি পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। রাস্তা, নিকাশি, আলো— সব কিছুরই সংস্কার দরকার। সম্প্রতি টোল ট্যাক্সের পরিমাণ দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। বাজারে চাহিদা না থাকায় বেশ কিছু ইউনিট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানে নতুন করে লগ্নি করার জন্য জমির চাহিদা নেই বললেই চলে, দাবি তাঁদের। তাছাড়া যে দাম দিয়ে জমি কেনার কথা বলা হয়েছে তা-ও বেশ চড়া বলে দাবি করেন এক শিল্পদ্যোগী। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে জমি কিনে লগ্নি করে পোষাবে না।’’

সব্যসাচীবাবু অবশ্য জানান, জমির দাম কমানোর সুযোগ নেই। উঁচু জমির দাম কাঠা প্রতি আড়াই লক্ষ টাকা। নিচু জমির ক্ষেত্রে দাম ১০ হাজার টাকা কম রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করেই জমি দেওয়া হচ্ছে। কোনও লাভ না রেখেই জমি দেওয়া হয় শিল্পদ্যোগীদের। এর কমে দেওয়া আর সম্ভব নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Reform Durgapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE