আর্জি: মহকুমাশাসকের কাছে নেতারা। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রের ‘সবার জন্য গৃহ’ প্রকল্প রূপায়ণে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা একেবারে ব্যর্থ, দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাল সিপিএম। বৃহস্পতিবার একটি স্মারকলিপি দিয়ে তারা অভিযোগ করে, ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে পুরসভা এলাকায় ৫১ হাজার বাড়ি গড়ার কথা ছিল। অথচ, এখন মাত্র ২৩৩টির কাজ চলছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ ফেরত চলে যাবে বলে সিপিএমের আশঙ্কা। পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, প্রকল্পের কাজ চলছে যথাযথ ভাবেই।
শহরের সবার মাথায় ছাদের ব্যবস্থা করতে দুর্গাপুর পুরসভা এলাকায় প্রায় ৫১ হাজার বাড়ি প্রয়োজন। ২০১৫-র এপ্রিল থেকে ২০১৭-র মার্চের মধ্যে দুর্গাপুর-সহ দেশের একশোটি শহরে সবার জন্য বাড়ি তৈরির প্রকল্প করেছে কেন্দ্র। রান্নাঘর, শৌচাগার-সহ বাড়ি গড়ে দেওয়া হয় এই প্রকল্পে। নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্র উপভোক্তাকে নির্মাণ বাবদ এক লক্ষ টাকা অনুদান দেবে। এ ছাড়া ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে প্রাপকের নিজস্ব জমি থাকতে হবে। প্রথম দফায় কেন্দ্র মাত্র ২৩৩টি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে বলে দাবি পুরসভার।
সিপিএমের অভিযোগ, চলতি মাসেই সময়সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে ওই প্রকল্পের কাজের। এ পরে প্রকল্প ফেরত চলে যাবে। ফলে, আর কেউ তার সুফল পাবেন না বলে তাদের আশঙ্কা। প্রকল্প রূপায়ণে পুরসভা উদ্যোগী নয় বলেও অভিযোগ সিপিএম নেতাদের। তাঁদের দাবি, ভূমিহীনদের জন্য পুরসভা বা রাজ্য সরকার জমির ব্যবস্থা করে দিক।
সিপিএমের আরও অভিযোগ, বিরোধী এগারো জন কাউন্সিলরের মধ্যে ন’জনের ওয়ার্ডে প্রথম দফায় বাড়ির কোনও ব্যবস্থাই হচ্ছে না। বাকি দু’জন কাউন্সিলরের ওয়ার্ডে আবার তৃণমূলের কার্যালয় থেকে ফর্ম পূরণের ব্যবস্থা করায় গ্রাহকের তালিকা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, অভিযোগ সিপিএমের। এমনকী, যে বাড়িগুলি তৈরির কাজ চলছে তা কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া গুণমান অনুযায়ী হয়নি। সিপিএমের দুর্গাপুর ২ পু্র্ব জোনাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘অতীতে এই পুরবোর্ডের অকর্মণ্যতায় কেন্দ্রের জেএনএনইউআরএম-এর একাধিক প্রকল্পের টাকা ফেরত গিয়েছিল। এ বারও এক পরিস্থিতি।’’
এ দিন মহকুমাশাসকের কাছে এই সব অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি দেয় সিপিএম। সিপিএম নেতা পঙ্কজবাবুর অভিযোগ, ‘‘ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা দিতে পারে না পুরসভা। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণ করতে পারা না আশ্চর্যজনক নয়। মাঝে হাজার-হাজার দুঃস্থ মানুষ প্রকল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত হলেন।’’
মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা সিপিএমের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। পুরসভার মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় অবশ্য জানান, কেন্দ্রের রূপরেখা মেনেই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy