Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

পণ দিতে না চাওয়ায় খুনের চেষ্টা

অতিরিক্ত পণ দিতে দিতে অস্বীকার করায় বছর বাইশের এক বধূকে লোহার শিক দিয়ে ছ্যাঁকা, পরে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভাতারে। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই যুবতীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাতার শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫০
Share: Save:

অতিরিক্ত পণ দিতে দিতে অস্বীকার করায় বছর বাইশের এক বধূকে লোহার শিক দিয়ে ছ্যাঁকা, পরে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভাতারে। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই যুবতীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বুধবার বৈশাখী ধারা নামে ওই বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ধমান মহিলা থানা ভাতারের খেড়ুরছাতনি গ্রাম থেকে বধূর স্বামী ছোট্টু ধারা, দেওর রঞ্জিত ধারা ও শাশুড়ি মমতা ধারাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে সিজিএম সঞ্জয়রঞ্জন পাল ৮ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

এ দিন বিচারকের সামনে সরকারি আইনজীবী নারদকুমার ভুঁইঞা ওই বধূর শরীরে লোহার শিকের ছ্যাঁকা দেওয়া ছবি দেখিয়ে বিচারককে জানান, কী ভাবে তিনি শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত হয়েছেন। ওই আইনজীবী বলেন, “পড়শিরা এগিয়ে এসে ওই বধূকে প্রাণে বাঁচান।” পুলিশ জানিয়েছে, বছর দুয়েক আগে ছোট্টুর সঙ্গে বৈশাখী ধারার বিয়ে হয়। তাঁদের এক বছরের মেয়েও রয়েছে।

বৈশাখী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, বিয়েতে চাহিদামত পণ দেওয়া হয়। তারপরেও শ্বশুরবাড়ি থেকে অতিরিক্ত পণের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। প্রায় দিনই স্বামী মদ খেয়ে এসে তাঁকে মারধর করতেন। ওই বধূর কথায়, “ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং মেয়ের জন্য মুখ বুজে সব সহ্য করতাম।” তাঁর অভিযোগ, সোমবার দুপুরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অন্যরা তাঁকে প্রচন্ড মারধর করে। লোহার শিক দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। তারপর গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করার সময় তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Husband Wife Dowry
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE