Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

স্নাতক স্তরে সেমেস্টারের ভাবনা

বেশ কয়েক বছর আগে স্নাতকোত্তর স্তরের বিভিন্ন বিভাগে সেমেস্টার চালু করে সুফল পেয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার স্নাতক স্তরের পঠনপাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থাতেও সেমেস্টার চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

বেশ কয়েক বছর আগে স্নাতকোত্তর স্তরের বিভিন্ন বিভাগে সেমেস্টার চালু করে সুফল পেয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার স্নাতক স্তরের পঠনপাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থাতেও সেমেস্টার চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে তারা।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে সহকারী উপাচার্য ষোড়শীমোহন দাঁয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়া করা হয়েছে। ওই কমিটি স্নাতক স্তরে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলে সেমেস্টার চালু করতে গেলে কী কী পরিকাঠামো দরকার সে বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলে রিপোর্ট জমা দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিমাই সাহা জানান, সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্নাতক স্তরে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করার স্বপক্ষে তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (নাক) বেশ কয়েক বছর ধরে স্নাতক স্তরে সেমেস্টার চালু করার জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে বলছে। এ বছরও পরিদর্শনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামককে সে কথা বলেন তাঁরা। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের নিয়ে দু’দিনের কর্মশালা হয়। সেখানেও সেমেস্টার চালুর কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান ছাড়াও বীরভূম, হুগলি ও বাঁকুড়া মিলে ৮৩টি স্নাতক স্তরের কলেজ রয়েছে। প্রতি বছর সেখানে ভর্তি হয় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার পড়ুয়া। তার মধ্যে অনার্স নিয়ে পড়েন প্রায় ৩৬ হাজার পড়ুয়া। এত জনকে কী রাতারাতি সেমেস্টারে আনা সম্ভব? সহকারী উপাচার্য ষোড়শীমোহন দাঁয়ের দাবি, “প্রথমে অনার্সের বিষয়গুলিতে সেমেস্টার চালু করা হবে, পরে পাশ কোর্সে হবে।’’ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, সেমেস্টারে নিয়মিত ক্লাস মূল্যায়ন করা হবে। পাঠ্যক্রমেরও বদল হবে। এ ছাড়াও সঠিক সময়ে ফল বের করার জন্য বোলপুর, রামপুরহাট, বাঁকুড়া ও চুঁচুড়ায় আঞ্চলিক দফতর খোলা হবে। সেখান থেকেই পরীক্ষার খাতা বিলি বা সেখানে বসে পরীক্ষার খাতা দেখার সুযোগ থাকবে।

বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষেরাও সেমেস্টার চালুরই পক্ষে। তাঁদের দাবি, সারাবছর ধরে বইয়ের চাপের বদলে নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমের উপর ছ’মাস অন্তর পরীক্ষা হলে পড়ুয়ারা তুলনামূলক ভাবে ক্লাসমুখী হবে। বেশি নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বাঁকুড়ার সারদামনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ গুপ্ত বলেন, “এতে পড়ুয়াদের ভাল হবে। তবে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন প্রয়োজন।” বীরভূম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পার্থ মুখোপাধ্যায়ের আশা, “পড়ুয়ারা ফের বইমুখী হবে।” আরামবাগ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ শাহিদুল ইসলাম মনে করেন, “পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষকরাও ক্লাসমুখী হতে বাধ্য হবেন।” ষোড়শীমোহনবাবুরও দাবি, সেমেস্টার হলে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সহজ হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Burdwan University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE