গ্রেফতার: আদালতে মামলেট শেখ। নিজস্ব চিত্র
পারিবারিক বিবাদের মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসেছিলেন খুনে অভিযুক্ত। খবর পেয়ে হাজির ছিল পুলিশ। ছিলেন নিহতের আত্মীয়েরাও। তাড়া করে তাঁরা ধরে ফেলেন অভিযুক্ত যুবককে।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে ধাওয়া করে কাটোয়া পুরসভা মোড়ের কাছাকাছি গিয়ে শুক্রবার ধরা হয় অভিযুক্ত মামলেট শেখকে। নিহতের পরিবার অবশ্য দাবি করেছে, মামলেটকে ধরার কাজে পুলিশকে সাহায্য করেছে তারা। পুলিশের বক্তব্য, মামলেটকে ধরার জন্য তারা প্রস্তুতি নিয়েই আদালত চত্বরে হাজির ছিল।
৩ এপ্রিল বীরভূমের লাভপুরের দাঁড়কা পঞ্চায়েতের সাউগ্রামে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বোমার ঘায়ে খুন হন লখরিদ শেখ (৪২)। জখম হন সামিউল শেখ নামে সাউগ্রামেরই আর এক বাসিন্দা। সামিউলের দাবি, আততায়ীদের মধ্যে ছিলেন মামলেট। লখরিদের দাদা ইমাই শেখ মামলেট-সহ আরও তিন জনের নামে লাভপুর থানায় খুনের অভিযোগ করেন।
ঘটনার পর থেকেই মামলেট ফেরার ছিলেন বলে দাবি করছিল লাভপুর থানা। পরে পুলিশ জানতে পারে, বছর চল্লিশের মামলেটের শ্বশুরবাড়ি সাউগ্রামে। বাড়ি কেতুগ্রামের চিনিসপুরে। সেই সূত্রে কেতুগ্রাম থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে বীরভূম পুলিশ। লাভপুর থানার দাবি, তাদের কাছে খবর ছিল, পারিবারিক বিবাদের মামলায় শুক্রবার আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন মামলেট। সেই মতো লাভপুর থানার সাব-ইনস্পেক্টর মিলন মণ্ডল-সহ চার পুলিশকর্মী হাজির ছিলেন আদালত চত্বরে।
স্থানীয় সূত্রে মামলেটের গতিবিধির খবর পেয়েছিলেন লখরিদের বাড়ির লোকেরাও। ইমাই শেখের দাবি, আদালত চত্বরে ঘোরাফেরা করতে করতেই মামলেটকে দেখতে পান তাঁরা। তাঁদের দেখতে পেয়েই ছুট লাগান মামলেট। পুলিশ ও ইমাইদের তাড়া খেয়ে প্রথমে জনবহুল কাছারিপাড়ার একটি গলিতে ঢুকে যান তিনি। টেনেহিঁচড়ে সেখান থেকে মামলেটকে টেনে বার করতে দেখা যায় ইমাই শেখ ও তাঁর সঙ্গীদের। ইমাই বলেন, ‘‘মামলেট খুব ধুরন্ধর। পুলিশের পক্ষে ওকে ধরায় সমস্যা হতে পারত। তাই আমরা সে কাজে হাত লাগাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy