—প্রতীকী চিত্র।
এক দম্পতির দেহ মিলল কাটোয়ার খালপাড়ায়। শোওয়ার ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন ওই যুবক। মেঝেতে পড়েছিল স্ত্রীর দেহ। রবিবার সকালে তাঁদের বারো বছরের ছেলে প্রথম ঘটনাটি দেখে। তবে কোনও অভিযোগ হয়নি। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড়ায় দীর্ঘদিনের বাস বুধু পণ্ডিত (৩১) ও ঝুমা পণ্ডিতের (২৯)। বারো বছরের ছেলে ও সাত বছরের একটি মেয়ে রয়েছে তাঁদের। পুলিশের দাবি, ছেলেটি জানিয়েছে এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ ঘুম ভাঙার পরে একতলা বাড়ির টিনের ছাদে লাগানো বাঁশে ঝুলন্ত অবস্থায় বাবা ও মেঝেতে মাকে পড়ে থাকতে দেখে সে। তার চিৎকারে ঠাকুমা, কাকারা আসেন। পুলিশ খবর দেন পড়শিরা। পুলিশের দাবি, ঝুমাদেবীর গলায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ময়না-তদন্তের জন্য দেহ দু’টি কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পড়শিরা জানান, বছর পনেরো আগে ঝুমার সাথে বিয়ে হয় ওই পাড়ারই বাসিন্দা পেশায় রং মিস্ত্রি বুধুর। বিয়ের পর থেকে অভাবের সংসার সামলাতে ঝুমা পরিচারিকার কাজ করতেন। ঝুমার মা সন্ধ্যা থান্দারের অভিযোগ, ‘‘রাতে মদ খেয়ে এসে জামাই প্রায়ই মেয়েকে মারধর করত, সন্দেহ করত।’’ ঝুমাও তাঁর স্বামীকে সন্দেহ করতেন বলে জানান বুধুর ভাই রবি পণ্ডিত। জানা গিয়েছে, পারস্পারিক সন্দেহ, অশান্তির জেরে বছর তিনেক ধরে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কলেজপাড়ায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ঝুমা। বনিবনা হওয়ায় দিনচারেক আগে সন্তানদের নিয়ে স্বামীর কাছে ফেরেন তিনি। সন্ধ্যাদেবীর দাবি, ‘‘শনিবার দুজনে একসঙ্গে বাজারে গিয়েছিল। ফুচকা খেয়ে ফিরল। তারপর এরকম যে কী হল!’’
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করার পরে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy