কালবৈশাখীতে জেলা জুড়ে বোরো চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতি হলে কী ভাবে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে, তা নিয়ে কৈচরের মারুলিয়া গ্রামে শিবির আয়োজন করল মঙ্গলকোট ব্লক কৃষি দফতর। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে যাঁরা চাষ করেননি বা যে সব চাষির ফসল বিমা নেই, তাঁরা ক্ষতিপূরণের আওতায় আসবেন কি না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চাষিদের একাংশ।
জেলা কৃষি দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ২২টি ব্লকের ২০৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬২৬টি মৌজায় বোরো চাষে ক্ষতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার কৃষি দফতরের কর্তারা জানান, যে সমস্ত চাষি ব্যাঙ্ক অথবা সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে বোরো চাষ করেছিলেন, তাঁরা ফসল বিমা যোজনার অন্তর্ভুক্ত। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা যে সব চাষির করা রয়েছে, তাঁরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানান দফতরের কর্তারা। তা ছাড়া যে সব চাষি অন্যের জমিতে ভাগ চাষ করেন, তাঁরাও প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা করতে পারেন বলে জানান কর্তারা।
মঙ্গলকোটের কৃষি আধিকারিক উৎপল খেয়ারু বলেন, “কমবেশি ক্ষতি হয়েছে বেশ কিছু চাষে। তাই এমন শিবির।’’ তা ছাড়া কী ভাবে চাষ করলে খরচ কম হয়, সে বিষয়েও চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিশেষজ্ঞ বিপদভঞ্জন পাল, আশুতোষ সরকার।
শিবিরে যোগ দিয়ে মরুলিয়া গ্রামের উদয় দত্ত, পৈরাগ ঘোষদের মতো চাষিরা বলেন, ‘‘এমন শিবির আগে হলে আরও ভাল হতো।’’ মঙ্গলকোটের নীলিমা সর্দার, কাশেমনগরের উদয় ভারুইদের প্রশ্ন, যাঁরা মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন, তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন কি না?
উৎপলবাবুর যদিও দাবি, ‘‘এই ধরনের চাষিদের স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে সুপারিশপত্র নেবেন। তার পরে তাঁরা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করলে রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বরাদ্দ টাকা থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy