Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

গ্যাস ব্যবহারের নির্দেশ, তবু কাঠে রান্না মিড-ডে মিল

দূষণ এড়াতে মিড-ডে মিলের রান্নায় জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা কার্যকরের কথাও ছিল জেলার স্কুলগুলিতে।

অর্পিতা মজুমদার
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৪
Share: Save:

দূষণ এড়াতে মিড-ডে মিলের রান্নায় জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা কার্যকরের কথাও ছিল জেলার স্কুলগুলিতে। কিন্তু দেড় মাস পরেও বেশিরভাগ হাইস্কুলেই রান্না হচ্ছে কাঠের জ্বালানিতে। প্রাথমিক স্কুলগুলি অবশ্য অনেকটাই পালন করেছে সেই শর্ত।

ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (হু)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রান্নায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ, ঘুঁটে, কয়লা ব্যবহার করা হলে রান্নাঘরের পরিবেশ সহনমাত্রার অনেক বেশি গুণ দূষিত হয়। তাতে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ-সহ নানা সমস্যা হয়। গ্যাসে রান্না হলে দূষণ সার্বিক ভাবে কমে। মাস কয়েক আগে স্কুল সংক্রান্ত জেলা স্তরের নজরদারি কমিটির বৈঠকে তাই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব স্কুলে গ্যাসের জ্বালানিতে মিড-ডে মিল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। জেলা সর্বশিক্ষা অভিযানের পক্ষ থেকে স্কুলগুলিকে এলপিজি গ্যাসের সংযোগ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

সর্বশিক্ষা অভিযান সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুলে গ্যাসে রান্না শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে পিছিয়ে আছে হাইস্কুলগুলি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ার মোট সংখ্যা হাইস্কুলের থেকে অনেক কম। শুরুতে মাসে একটি করে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে, প্রাথমিকের পড়ুয়াদের রান্নার জন্য জ্বালানির প্রয়োজন মিটে যাচ্ছে। কিন্তু হাইস্কুলগুলিতে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা রয়েছে। বেশ কিছু হাইস্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গিয়েছে, চারটি ক্লাস মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। ফলে, একটি সিলিন্ডারে কয়েকদিনের বেশি রান্না হওয়া সম্ভব নয়। তাই অনেক স্কুল চাইলেও নতুন ব্যবস্থা চালু করতে পারছেন না। গ্যাসের পাশাপাশি কাঠের জ্বালানির ব্যবস্থাও রাখতে হবে ভেবে সংশয়ে ভুগছেন স্কুল কর্তৃপক্ষেরা। তাছাড়া রান্নার কাজে নিযুক্ত স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কেউ-কেউ গ্যাসে রান্না করায় সড়গড় নন। ফলে, সমস্যা রয়েই গিয়েছে।

যদিও সর্বশিক্ষা অভিযানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাঠের জ্বালানির ব্যবহার একেবারে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব স্কুলেই গ্যাসে রান্না চালু করতেই হবে। অভিযানের মিড-ডে মিল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক কৌশিক পাল বলেন, ‘‘৩১ জানুয়ারির মধ্যে জেলার সব স্কুলেই গ্যাসের সংযোগ এসে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Midday Meal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE