Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মাটিতে পড়ে বই, ধুঁকছে কাটোয়ার স্কুলের গ্রন্থাগার

স্কুলে গ্রন্থাগার রয়েছে। আলমারিতে সাজানো থরে থরে বই। কিন্তু গ্রন্থাগারিকের অভাবে কাটোয়ার অধিকাংশ স্কুলেই ধুলো জমছে গ্রন্থাগারে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বই না মেলায় সমস্যা হচ্ছে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও।

ডিডিসি স্কুলের গ্রন্থাগার। —নিজস্ব চিত্র।

ডিডিসি স্কুলের গ্রন্থাগার। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪৪
Share: Save:

স্কুলে গ্রন্থাগার রয়েছে। আলমারিতে সাজানো থরে থরে বই। কিন্তু গ্রন্থাগারিকের অভাবে কাটোয়ার অধিকাংশ স্কুলেই ধুলো জমছে গ্রন্থাগারে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বই না মেলায় সমস্যা হচ্ছে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও।

শহরের মাঝখানে রয়েছে ডিডিসি গার্লস স্কুলের গ্রন্থাগারে ১৬টি আলমারিতে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার বই। স্কুল সূত্রে খবর, বছরখানেক ধরে তালা ঝুলছে গ্রন্থাগারের দরজায়। স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দেড় বছর আগে গ্রন্থাগারিক স্নিগ্ধা রায় অবসর নেওয়ার পরে থেকেই কার্যত তালাবন্ধ গ্রন্থাগার। যদিও মাঝেসাঝে পড়ুয়াদের প্রয়োজনে অল্পবিস্তর বই দেওয়া হয় বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি। গ্রন্থাগারে ঢুকে দেখা গেল, ডাঁই করে রাখা রয়েছে পুরনো বই, পত্রিকা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যার অধিকাংশতেই ধুলো জমেছে। দ্বাদশ শ্রেণির দীপান্বিতা চট্টোপাধ্যায়, সুমিষ্ঠা সাহাদের অভিযোগ, ‘‘অনেক বই বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। স্কুলে সে সব বই থাকলেও হাতে পাচ্ছি না।’’ একই অভিযোগ করেন অভিভাবক সুতপা প্রধানও। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকারের অবশ্য দাবি, ‘‘পর্যাপ্ত শিক্ষিকা নেই। তবুও চেষ্টা করছি যাতে গ্রন্থাগারটি চালু করা যায়।’’

ডিডিসি-র মতোই বছর দেড়েক ধরে বন্ধ ভারতীভবন বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারটিও। এখানে বইয়ের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘স্কুল পরিদর্শন বিভাগে বিষয়টি জানিয়েছি। গ্রন্থাগারিক দরকার।’’ কাশীরামদাস বিদ্যায়তনে আবার গ্রন্থাগারিক থাকলেও বই রাখার ব্যবস্থা নেই। এখানে বহু বই মাটিতে পড়ে রয়েছে। প্রধান শিক্ষক সুধীন মণ্ডল বলেন, ‘‘হাজার আটেক বই এক জন মাত্র গ্রন্থাগারিকের পক্ষে সামলানো সম্ভব হচ্ছে না।’’ মাত্র সাড়ে পাঁচশো বই রয়েছে শ্রীখণ্ড উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানেও গ্রন্থাগারিক নেই। প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে আসা ছাত্রদের সব বই কেনার সামর্থ নেই। গ্রন্থাগারটি চালু হলে সমস্যা মিটবে।’’

প্রধান শিক্ষকেরা বিষয়টি নিয়ে আবেদন করলে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার আশ্বাস দিয়েছেন কাটোয়া পশ্চিম চক্রের স্কুল পরিদর্শক জানবাজ শেখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Katwa Library
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE