Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মিষ্টি হাবে তিন দোকান, প্রশ্ন

যাঁদের জন্য এত আয়োজন দেখা নেই সেই খরিদ্দারদেরই। ফলে, ‘মিষ্টি হাব’ উদ্বোধনের আড়াই মাস পরেও তিনটের বেশি দোকানের ঝাঁপ খোলেনি।

ফাঁকা: বন্ধ পড়ে মিষ্টি হাবের বেশির ভাগ দোকান। নিজস্ব চিত্র

ফাঁকা: বন্ধ পড়ে মিষ্টি হাবের বেশির ভাগ দোকান। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০০:৪৮
Share: Save:

আয়োজনে খামতি নেই। কিন্তু যাঁদের জন্য এত আয়োজন দেখা নেই সেই খরিদ্দারদেরই। ফলে, ‘মিষ্টি হাব’ উদ্বোধনের আড়াই মাস পরেও তিনটের বেশি দোকানের ঝাঁপ খোলেনি। ওই হাবের ব্যবসায়ীরা প্রকল্পটি বাঁচানোর জন্য জেলাশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব জানিয়েছেন। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ মাসেই পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগে মিষ্টি হাবের সব দোকান খোলার ব্যাপারে আলোচনা চালাচ্ছে জেলা পরিষদ। শুক্রবার মিষ্টি হাব প্রকল্পের এলাকা ঘুরে এসে সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “সোমবারের মধ্যে দোকান খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” মিষ্টি হাবের প্রথম পর্যায়ে ১৫টি দোকান তৈরি করে বিলি করা হয়েছে। বর্ষার পরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে।

৭ এপ্রিল, জেলা ভাগের দিন আসানসোল থেকে মিষ্টি হাব প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই বর্ধমান শহরে মাটি মেলায় এসে ‘মিষ্টি হাব’ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু জমি-জটে পিছিয়ে গিয়েছিল ওই প্রকল্পের কাজ। পরে জায়গা বদল করে গড়া হয় হাব। কিন্তু উদ্বোধনের আড়াই মাস কেটে গেলেও তিনটের বেশি দোকান খোলা গেল না। বর্ধমানের ‘সীতাভোগ-মিহিদানা ওয়েলফেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র কর্তা প্রমোদ সিংহের দাবি, “মিষ্টি হাবে তিনটে দোকান রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। তবুও আমরা লেগে রয়েছি। প্রশাসনের সাহায্য পেলে ব্যবসা দাঁড়িয়ে যাবে।” জানা গিয়েছে, খরিদ্দার টানার জন্য প্রতিটি দোকান শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) করা হচ্ছে। পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও সৌন্দর্যায়নের দিকে নজর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজ্য মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আশিস পালের কথায়, “সরকারি বাসের স্টপ, খরিদ্দারদের সুষ্ঠু ভাবে জাতীয় সড়ক পারাপার-সহ সাত দফা দাবি জেলাশাসকের কাছে দেওয়া হয়েছে। এগুলি হলে হাল বদলাবে।’’

ব্যবসায়ীদের কথায়, জাতীয় সড়কের উপর আমড়াতে শক্তিগড়ের ল্যাংচা কেনার জন্য সরকারি বাস দাঁড়ায়। সেই দেখে বেসরকারি বাস ও ছোট যাত্রীবাহী গাড়ি দাঁড়ানোয় সেখানে ব্যবসার হালও ভাল। ‘পরাণের ক্ষীরের পান্তুয়া’ দোকানের মালিক কাটোয়ার তপন কুণ্ডুর দাবি, “মিষ্টি হাবের সামনে বাস-গাড়ি দাঁড়ালে খরিদ্দার হবে, তেমনি প্রচারও পাওয়া যাবে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ‘মিষ্টি হাবে’র সামনে সরকারি বাস দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা পরিবহণ আধিকারিককে দেখতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Misti Hub Sweets Sitabhog Mihidana
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE