নতুন একটি খোলামুখ খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করল ইসিএল। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাতগ্রাম এরিয়ার এলাকায় নতুন খনিটি চালু হবে। কয়লা তোলার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে ইসিএল সূত্রে খবর।
ইসিএলের তরফে জানানো হয়েছে, জেকে নগরের নিমচা কোলিয়ারি সংলগ্ন ডালমিয়া এলাকায় খনন কাজ চালানো হবে। সাতগ্রাম এরিয়ার জিএম সঞ্জয় কুমার সিংহ জানান, সম্প্রতি ওই এলাকায় সমীক্ষা চালান বিশেষজ্ঞরা। অনুমান করা হচ্ছে ওই এলাকায় মাটির তলায় প্রায় ৬ লক্ষ টন উন্নত মানের কয়লা মজুত রয়েছে। কয়লা তুলতে প্রায় বছর দু’য়েক সময় লাগবে বলে সঞ্জয়বাবু জানান। নতুন খনিটির জন্য প্রায় ৫০ একর জমি খনন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ইসিএলের নিজস্ব জমি রয়েছে প্রায় ২৫ একর। বাকি ২৫ একর জমি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার এলাকায় গিয়ে মাপজোক করেন সংস্থার কর্মীরা। ২ মে, সোমবার থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। ইসিএল কর্তৃপক্ষের আশা, কয়লা উত্তোলন পুরোদমে শুরু হয়ে গেলে চলতি আর্থিক বছরে বড় অঙ্কের লাভ ঘরে তুলতে পারে সাতগ্রাম এরিয়া। বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে কয়লা উত্তোলনের কাজ করানোয় খরচে বেশ খানিকটা রাশ টানা সম্ভব হবে বলে খনি কর্তৃপক্ষের আশা।
খোলামুখ খনিটিকে সফল ভাবে চালু করার জন্য এলাকার বাসিন্দাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। এর আগে খনি এলাকায় কাজ করতে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে ইসিএলকে। যেমন, পাণ্ডবেশ্বরের বেলবাঁধ ও সালানপুরের বিভিন্ন খনিতে বহুবার সমস্যায় পড়েছেন খনি কর্তৃপক্ষ। এ বার তেমনটা যাতে না হয়, তাই আগেভাগেই ইসিএল কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ইসিএল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, নতুন খনি থেকে নির্বিঘ্নে কয়লা উত্তোলন চালু করা গেলে এলাকায় কাজের সুযোগ বাড়বে। এলাকার সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কাজ করা হবে বলে খনি কর্তৃপক্ষের আশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy