সরাইটিকরে নুইয়ে পড়েছে ধান জমি। নিজস্ব চিত্র
বৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো চাষে। জেলা কৃষি দফতরের দাবি, ২২টি ব্লকের ২০৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬২৬টি মৌজায় বোরো চাষে ক্ষতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বছর ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫০৮ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে ৬৯ হাজার হেক্টর জমির ৭০ শতাংশ ধান ঝড়ে গিয়েছে। আর ৩৭ হাজার হেক্টর জমির ৩৩ শতাংশ ধান ক্ষতির মুখে পড়েছে। কৃষি দফতরের উপ অধিকর্তা (পূর্ব বর্ধমান) জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। আর্থিক ক্ষতির হিসেব করে নবান্নে রিপোর্ট পাঠানো হবে।” কালনা মহকুমা কৃষি দফতরের দাবি, এ বার ৩৬,০২৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে ১০ শতাংশ জমি থেকে চাষিরা ধান তুলতে শুরু করে দিয়েছিলেন। বাকি জমির ধানও পেকে গিয়েছিল। এই সময়ে কালবৈশাখীর দাপটে বেশির বাগ ধানই ঝরে গিয়েছে। মহকুমা কৃষি দফতরের হিসেবে, ৫০৭টি মৌজায় ৩১,০৩১ হেক্টর জমিতে ক্ষতি হয়েছে। পূর্বস্থলী ২ ব্লকে অজস্র আমবাগান ভর্তি হয়েছে ঝরা় আমে।
তবে সব্জি, পাট ও তিল চাষে এই বৃষ্টি কাজে আসবে বলেও কৃষি কর্তাদের দাবি। সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পাট, তিলের চারার বৃদ্ধি অনেকটাই ব্যহত হচ্ছিল। বৃষ্টি সে সমস্যা কিছুটা মেটাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy