ক্ষোভ: শুক্রবার রাতে বেসরকারি হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।
রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতের ঘটনা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর ভোরে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, পেশায় বন দফতরের কর্মী কাজি নাজির হোসেন (৫০) নামে রানিগঞ্জের বক্তারনগরের এক বাসিন্দা। তিনি কর্মসূত্রে সপরিবার দুর্গাপুরের স্টিল পার্ক লাগোয়া বন দফতরের আবাসনে থাকতেন।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় রোগীর কোনও উন্নতি হয়নি। রোগীর সঙ্গে দেখাও করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরিজনদের দাবি, নাজিরের শারীরিক অবস্থা নিয়েও ধোঁয়াশা রাখেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, শুক্রবার রোগীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতির কথা জানতে পেরে রোগীকে অন্যত্র ‘স্থানান্তরিত’ করার কথা বলা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা শোনেননি। রাত ১০ টার পরে পরিজনেরা জানতে পারেন, নাজিরের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের মেয়ে আফরুজা সুলতানার অভিযোগ, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতিতেই বাবার মৃত্যু হয়েছে। বিল বাড়ানোর জন্য মৃত্যু-সংবাদ চেপে রাখা হচ্ছিল বলে আমাদের অনুমান।’’ এর পরেই মৃতের পরিজনেরা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভ দেখান। নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ এসে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। থানায় অভিযোগ করে মৃতের স্ত্রী আয়েষা সুলতানা বলেন, ‘‘স্বামীকে ‘রেফার’ করার অনুরোধ করি। তা না শুনে স্বামীকে ভেন্টিলেশনে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকেরা।’’ যদিও হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুজিত দত্ত বলেন, ‘‘হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। চিকিৎসকেরা সাধ্যমতো চিকিৎসা চালিয়েছেন। রোগী আটকে রাখার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ তাঁর আরও দাবি, রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যবিমা’র সুবিধাপ্রাপ্ত ছিলেন ওই রোগী। রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ‘রেফার’ করা হয়। তা ছাড়া রোগীর পরিজনেরা লিখিত ভাবে ‘রেফার’ করার আর্জি জানালে তা বিবেচনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলেই দাবি সুজিতবাবুর।
পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হবে। মহকুমা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy