কুলটির সোদপুরে শৈলেন সরকারের তোলা ছবি।
রাস্তা জুড়ে কালো গুঁড়ো। তাতে ঢেকে গিয়েছে রাস্তার পাশের গাছপালাগুলোও। চিনাকুড়ি, শীতলপুর প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার বিভিন্ন কোলিয়ারি থেকে কয়লা পরিবহণ করার ক্ষেত্রে কোনও নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদেও দরবার করেছেন বাসিন্দারা।
প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, সোদপুর এরিয়ার ৩ নম্বর খনি লাগোয়া এলাকায় সোদপুর এরিয়ার সেন্ট্রাল কোল ডিপো রয়েছে। ধেমোমেন, পাটমোহনা প্রভৃতি খনিগুলি থেকে ফি দিন কয়েকশো কয়লা বোঝাই ডাম্পার চিনাকুড়ি রোড, শীতলপুর রোড-সহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন খনির উৎপাদিত কয়লা ডাম্পারে ভর্তি করে ডিপোতে নিয়ে যাওয়ার সময় নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা করা হয় না। অভিযোগ, বহন ক্ষমতার থেকে বেশি পরিমাণ কয়লা নিয়ে যাচ্ছে ডাম্পারগুলি। তা ছাড়া ডাম্পারে ঢাকাও থাকছে না। প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, রাস্তা দিয়ে আঢাকা অবস্থায় কয়লা বা আবর্জনা পরিবহণ করা চলবে না। আঢাকা থাকায় যাতায়াতের সময় চলন্ত ডাম্পার থেকে কয়লা রাস্তায় পড়ছে বলে জানান বাসিন্দারা। পথেঘাটে বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও। শুধু তাই নয়। কয়লার গুঁড়ো হাওয়ায় উড়ে ব্যাপক পরিবেশ দূষণও হচ্ছে বলে জানান বাসিন্দারা। রাস্তার কাছাকাছি বাড়িগুলোর জানলা খুলে রাখাও অনেক সময় দায় হয়ে পড়ছে বলে জানানা বাসিন্দারা।
যদিও ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার অরুণকুমার ঝা-র আশ্বাস, ‘‘আমিও অভিযোগ পেয়েছি। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এরিয়ার কর্তাদের যদিও দাবি, কয়লা পরিবহণের যাবতীয় নিয়মনীতির কথা সমস্ত ডাম্পার চালককে বলা হয়েছে। আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির আশ্বাস, ‘‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy