নালিশ: মছলন্দপুরে ক্ষোভ বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র
একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করেও মজুরি মিলছে না বারো মাস। এই অভিযোগে শনিবার কালনার সিমলন-আটঘোরিয়া পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দাদের একাংশ।
এ দিন মছলন্দপুর গ্রামে গেলে প্রধান জয়দেব প্রামাণিককের কাছে বাসিন্দারা জানান, এক বছর আগে পুকুর সংস্কারের কাজ করেছেন তাঁরা। বাপি মাঝি, রিঙ্কু মাঝি, সানি মাঝিরা প্রধানকে বলেন, ‘‘মজুরি মেলেনি। আবেদন করেও লাভ হয়নি।’’ এলাকাবাসীর দাবি, প্রায় সাত লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। জয়দেববাবু বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তবে এত দিনেও টাকা মেলেনি কেন? প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের তরফেই কোনও ত্রুটি হয়ে থাকায় এই বিপত্তি। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে বছর খানেক আগে চারটি ছোট পুকুর সংস্কারের কাজ হয়। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই কাজগুলির ‘মাস্টার রোল’ তৈরি করেনি পঞ্চায়েত। এর জেরে টাকা পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। যদিও এক বাসিন্দার দাবি, ‘‘অনেক সময় কাজের শুরুতে অথবা পরে মাস্টার রোল তৈরির কাজ করে পঞ্চায়েত।’’ তবে তিন মাস আগে দায়িত্ব নেওয়া জয়দেববাবু দাবি করেন, ‘‘বিষয়টি জানতাম না। মাস্টার রোল তৈরি হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে
দেখা হবে।’’
কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়ার দাবি, ‘‘একশো দিনের কাজ নিয়ে এমন সমস্যার কথা পঞ্চায়েত আগে জানায়নি। বিষয়টি জেলায় জানানো হবে।’’
তবে এই পঞ্চায়েতে ‘অনিয়ম’-র অভিযোগ নতুন নয়। কিছু দিন আগে সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির আবেদন নিয়েও গরমিলের অভিযোগ ওঠে এই একই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এ দিন মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, পরপর এমন গরমিলের পরে এই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নজরদারি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy