Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

দুর্গাপুরে বধূ খুন, ভাঙচুর শ্বশুরবাড়িতে

পুলিশ জানায়, গত বছর ডিসেম্বরে উখড়ার বাসিন্দা বৈশাখী ঠাকুরের (২০) সঙ্গে বিয়ে হয় দুর্গাপুরের সুকান্তপল্লির বাসিন্দা, পেশায় নির্মাণ সামগ্রী বিক্রেতা রাজেশ ঠাকুরের। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে জানানো হয়, ওই দিন রাত ন’টা নাগাদ শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসে।

ভাঙচুরের পরে বৈশাখীর শ্বশুরবাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

ভাঙচুরের পরে বৈশাখীর শ্বশুরবাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:২২
Share: Save:

বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বশুরবাড়িতে চলল ভাঙচুর। খুনের অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের সুকান্তপল্লির ঘটনা।

পুলিশ জানায়, গত বছর ডিসেম্বরে উখড়ার বাসিন্দা বৈশাখী ঠাকুরের (২০) সঙ্গে বিয়ে হয় দুর্গাপুরের সুকান্তপল্লির বাসিন্দা, পেশায় নির্মাণ সামগ্রী বিক্রেতা রাজেশ ঠাকুরের। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে জানানো হয়, ওই দিন রাত ন’টা নাগাদ শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসে। জানানো হয়, বৈশাখী ঘরের ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। উখড়া থেকে বৈশাখীর বাপের বাড়ির লোকজন দুর্গাপুরে চলে আসেন। পড়শিদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা বৈশাখীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।

এর পরেই খুনের অভিযোগ করতে থাকেন বাপের বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, রাত ১০টা নাগাদ রাজেশের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একটি গাড়িও উল্টে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় রাজেশের বাড়ি, দোকান ও ট্রাকে। এই সময়ে রাজেশ বাড়ির বাকিদের নিয়ে একটি ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেন। এর মিনিট পনেরোর মধ্যে দুর্গাপুর থানার পুলিশের একটি টহলদার গাড়ি ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি বিমল মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। গ্রেফতার করা হয় রাজেশ ও তাঁর মা উমাদেবীকে।

পুলিশের কাছে বৈশাখীর মা মিঠু শর্মা অভিযোগ করেছেন, বিয়ের পরে থেকেই মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করা হতো। অভিযোগ, একাধিকবার বৈশাখীকে মারধর করে বাপের বাড়িতে রেখে চলে আসেন রাজেশ। মৃতার পরিবারের দাবি, রাজেশের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে প্রতিবাদ করলেও বৈশাখীকে মারধর করা হতো বলে অভিযোগ। মৃতার বাপের বাড়ির দাবি, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বৈশাখীও বাপের বাড়িতে ফোন করেন। ফোনে মেয়ে স্বাভাবিক কথাবার্তাই বলেছিলেন, দাবি মৃতার মায়ের।

শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক রােজশকে চার দিনের পুলিশ হেফাজত ও উমাদেবীকে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE