জোরকদমে: চলছে শপথগ্রহণের প্রস্তুতি। দুর্গাপুরে। ছবি: বিকাশ মশান
প্রথম বারের জন্য বিরোধীশূন্য পুরবোর্ড তৈরি হতে চলেছে। কিন্তু মেয়র কে হবেন, সে সাসপেন্স তুঙ্গে দুর্গাপুরে। শপথগ্রহণের আগের রাত পর্যন্তও মেয়রের নাম নিয়ে অন্ধকারে শহরের তৃণমূল নেতা থেকে সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর, সকলেই।
এ বার ৪৩টি ওয়ার্ডেই জিতে দুর্গাপুর পুরসভায় ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। আজ, বুধবার সিধো-কানহু স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে শপথ নেবেন কাউন্সিলরেরা। ঘোষণা হবে মেয়র, ডেপুটি মেয়র, মেয়র পারিষদদের নামও। তার পরে সেখানেই বসবে পুরবোর্ডের প্রথম সভা। কিন্তু কে কোন পদে বসতে চলেছেন, সে প্রশ্নে মুখে কুলুপ তৃণমূল নেতৃত্বের।
মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরে দলের নেতা ও কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বৈঠক নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে দলের একাংশের দাবি, মেয়র ও মেয়র পারিষদদের নাম ঘোষণার পরে সে নিয়ে কেউ যাতে প্রকাশ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ না করেন, তা নিশ্চিত করতেই এই বৈঠকে।
২০১২ সালে পুরভোটের আগেই অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের নাম মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। এ বার অপূর্ববাবু ভোটে দাঁড়াননি। দলও কারও নাম আগে থেকে জানায়নি। শহর তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মেয়রের নাম ঠিক করবেন। সদ্য রাজনীতিতে আসা কাউকে বেছে নেওয়া হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সেক্ষেত্রে প্রাক্তন এক আমলা বা ভোটের আগে দলে যোগ দেওয়া এক তরুণীর নাম উঠে আসতে পারে। তবে পুরনো দু’এক জন নেতানেত্রীও শিকে ছিঁড়তে পারে বলে আশায় রয়েছেন।
শহরের এক তৃণমূল নেতার আরও দাবি, এ বার মেয়র পারিষদও বদলের সম্ভাবনা প্রবল। পুরনো কাউকে রাখা হলে দফতর পাল্টে দেওয়া হতে পারে। তবে সাতটি মেয়র পারিষদ পদের চার-পাঁচটিতেই নতুন মুখ দেখা যাবে বলে শাসক দলের নেতারা মনে করছেন। প্রকাশ্যে অবশ্য নেতারা কথা বলতে নারাজ। জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় শুধু বলেন, ‘‘আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর সই করা মুখবন্ধ খামে তালিকা আসবে। নির্দিষ্ট সময়ে খাম খোলা হবে। তার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy