আসানসোলের রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র
শহরে টোটো চালাতে আগ্রহী চালকদের আবেদন করতে হবে পুরসভার কাছে। সেই আবেদনপত্র দেখে প্রত্যেককে একটি করে ‘টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ (টিন) দেওয়া হবে। তার পরে রুট ঠিক করে সেগুলিতে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে টোটোগুলিকে— বেআইনি ভাবে চলা টোটোর দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে আসানসোলে এমন পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্তই নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু আবেদনকারী টোটো চালকদের ওই নম্বর দেওয়া ছাড়া প্রক্রিয়া এখনও কিছু এগোয়নি। কবে রুট ঠিক করে টোটো চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে, নির্দিষ্ট ভাবে জানাতেও পারছেন না পুরসভা কর্তৃপক্ষ। আর সেই সুযোগে শহরের পথে নির্দিষ্ট নম্বর ছাড়া টোটোও দাপিয়ে চলছে বলে অভিযোগ।
বাসের চালক-কর্মীদের অভিযোগ, শহরে অসংখ্য টোটো চলছে বেআইনি ভাবে। যার ফলে তাদের যাত্রী সংখ্যা কমছে। শুধু শহরের ভিতরের পথ নয়, সরকারি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে রাজ্য ও জাতীয় সড়কেও যাত্রী নিয়ে ছুটছে টোটো। বাসের রুটগুলিতে টোটোর দাপটে ক্ষুব্ধ বাস মালিকেরা বারবার প্রশাসন ও পুর কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ।
শহরে টোটো সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে স্থায়ী সমধানসূত্র বের করতে পুরসভার তরফে দায়িত্বে রয়েছেন মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায়। তিনি জানান, ফেব্রুয়ারিতে আগ্রহী টোটো চালকদের কাছ থেকে আবেদন নিয়ে নম্বর (টিন) দেওয়া হয়েছে। পুরসভা এলাকায় মোট ৭৪৫ জন টোটো চালক সেই নম্বর নিয়েছেন। সর্বাধিক ৫৫৭ জন পেয়েছেন রানিগঞ্জে। এর পরে কুলটি ও আসানসোল। সবচেয়ে কম, মাত্র ১০ জন টোটো চালক নম্বর নিয়েছেন জামুড়িয়ায়। পূর্ণশশীবাবু বলেন, ‘‘ঠিক হয়েছিল ওই নম্বর প্রাপকদের বিভিন্ন রুটে টোটো চালানোর জন্য সরকার নির্দেশিত ফি নিয়ে পুরসভা বৈধ অনুমতিপত্র দেবে। সেই কাজ আমরা শুরু করতে পারিনি। তবে তা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’’ তিনি আরও জানান, টোটো চলাচলের রুট ঠিক করে দেবে পুরসভা। বাসরুট ও রাজ্য বা জাতীয় সড়কে কোনও যাত্রিবাহী টোটো চলবে না।
রুট নির্দিষ্ট না করায় শহরে অবৈধ টোটো ইচ্ছেমতো চলছে বলে অভিযোগ। শুধু নানা বাসের রুট নয়, রাজ্য ও জাতীয় সড়কেও যাত্রী বোঝাই টোটো চলাচলের কথা মেনে নেন পূর্ণশশীবাবু। কেন তা বন্ধ করা যাচ্ছে না, সে প্রশ্নে আসানসোল মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক মানস হালদার জানান, বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষ দেখছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy