Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পুজোর ছুটিতে নিশ্চিত সফর, টিকিট হাতে হাসি

দিনের আলো ফোটার আগে রেলের টিকিট সংরক্ষণ কাউন্টারের সামনে লাইন দিচ্ছেন রণদীপবাবুর মতো অনেকেই। উদ্দেশ্য, পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার টিকিটটা ‘কনফার্ম’ করা। হাতে টিকিট মিললেই ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ১৩:২৩
Share: Save:

লাইন দিয়েছেন ভোর ৪টে নাগাদ। ঘণ্টা চারেক পরে হাতে টিকিট পেয়ে যেন যুদ্ধজয়ের হাসি রণদীপ সেনের মুখে। ইস্কোর কর্মী বলেন, ‘‘কালও এসেছিলাম। কিন্তু টিকিট পাইনি। আজ পেয়ে গেলাম। এ বার পুজোয় উত্তর ভারত সফর। নিশ্চিন্ত হলাম!’’

দিনের আলো ফোটার আগে রেলের টিকিট সংরক্ষণ কাউন্টারের সামনে লাইন দিচ্ছেন রণদীপবাবুর মতো অনেকেই। উদ্দেশ্য, পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার টিকিটটা ‘কনফার্ম’ করা। হাতে টিকিট মিললেই ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ছে। টিকিট না পেয়ে অনেকে ফিরছেন দুশ্চিন্তা নিয়ে। পুজোর ছুটিটাই না মাটি হয়, আশা-নিরাশায় ভুগছেন তাঁরা।

ছুটি পেলেই ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকে। বেড়াতে না গেলে পুজোর ছুটি অসম্পূর্ণ বহু ভ্রমণপিপাসুর কাছে। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি। সমুদ্র, পাহাড় না কি অন্য কোথাও, চলে পরিকল্পনা। চার মাস আগেই রেলের টিকিট সংরক্ষণ শুরু হয়ে যায়। আর তাতেই পড়ে যায় হুড়োহুড়ি। পরিকল্পনা মাফিক বেড়ানোর জন্য কাউন্টারের সামনে দিতে হয় লাইন। ব্যতিক্রম হয়নি এ বারও।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার উত্তর ভারতের নানা জায়গায় যাওয়ার ঝোঁক রয়েছে বেশি। রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে বেশি। তুলনায় কম হলেও দক্ষিণ ভারতের টিকিটও কাটছেন অনেকে। টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাউন্টার খোলা হয় সকাল ৮টায়। কাউন্টারে ঢোকার দরজা খোলা হয় ভোর ৫টায়। কিন্তু তারও অন্তত দু’ঘণ্টা আগে থেকে বাইরে লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে। নিশ্চিত সংরক্ষিত টিকিট হাতে নিয়েই ট্রেনে চড়ার জন্য হাজির হয়ে যাচ্ছেন মানুষজন।

টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে ইসিএলের কর্মী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘‘পুজো মানেই ব্যস্ত সময় থেকে টানা একটা অবসর। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার চাপ থাকে না। তাই বেড়াতে তো যেতেই হবে।’’ বেড়াতে যাওয়ার আনন্দের মধ্যে এই টিকিট কাটাই ঝক্কি, মনে করেন কলেজের শিক্ষক মানবেন্দ্রনাথ সাউ। তিনি বলেন, ‘‘ভোর থেকে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। তবে টিকিট পেয়ে গেলাম। এ বার যাত্রা রাজস্থান।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE