নির্দেশ দিচ্ছেন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
সার্কিট হাউসের পাশেই পূর্ত দফতরের ‘দামোদর ভবন’। কিন্তু সেখানে থাকার সুবন্দোবস্ত ছিল না। বছর পঁয়ত্রিশের পুরনো বাংলোটির হাল ফেরাতে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু, পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে অপরিচ্ছন্ন ভবন চত্বর, ঢিমে তালে কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
রবিবার দুপুরে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে কোথায় কী খামতি রয়েছে তা জানান অরূপবাবু। ফাঁকা জায়গা কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে তারও নির্দেশ দেন। পূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘‘গয়ংগচ্ছ ভাবে কাজ করলে চলবে না। কাজে গতি নিয়ে আসুন। সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করুন।’’
ভবনে ঢোকার মুখে রাস্তার অবস্থা, সামনে অপরিচ্ছন্ন ফাঁকা জায়গা দেখে এ দিন ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী। তিনি ওই ফাঁকা জায়গায় ঘাস লাগিয়ে সবুজায়নের নির্দেশ দেন। ভবনের পাশেই রয়েছে একটি পুকুর। সেটি সংস্কার করে সৌন্দর্যায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয় পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে।
সার্কিট হাউসের পাশে পূর্ত দফতরের ওই বাংলো তৈরি হয়েছিল আটের দশেকর গোড়ায়। কয়েক বছর পরেই ইটে নোনা ধরে, পলেস্তার খসে পড়তে শুরু করে। বাংলোটি থাকার অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছিল। তৃণমূলের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে প্রায় ২০ লক্ষ টাকায় প্রাথমিক সংস্কার করা হয়। কিন্তু বছরখানেকের মধ্যে ভবনের অবস্থা ফের খারাপ হয়ে যায়। সার্কিট হাউসের অতিথিদের একাংশকে পূর্ত দফতরের বাংলোয় রাখা যেতে পারে, এই ভাবনায় আমূল সংস্কার করে দামোদর ভবনটি নতুন চেহারায় ফেরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতরের বর্ধমান ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার বৈঠকও করেছিলেন মন্ত্রী অরূপবাবু।
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, দোতলা ভবনটির উপরের তলায় একটি স্যুইট ও দু’টি ঘর থাকছে। নীচে রান্নাঘর ও খাওয়ার জায়গা রয়েছে। ভবনের ভিতরে ঢুকে পূর্তমন্ত্রী খুঁটিনাটি খামতিগুলি ইঞ্জিনিয়ারদের জানান। আসবাবপত্র নিয়েও বেশ কিছু বিষয় জানতে চান। এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে ভবনটির কাজ শেষ করতে বলেন মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকায় পূর্ত দফতরের এই ভবনটির সংস্কার হচ্ছে।
তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক অরূপবাবু জামালপুরের মশাগ্রামে দলের জেলা সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন শনিবার। রবিবার হুগলির পান্ডুয়ায় দলের সম্মেলনে যাওয়ার পথে আচমকা ‘দামোদর ভবনে’ হাল-হকিকত দেখতে ঢোকেন। সেখান থেকে বেরিয়ে পূর্তমন্ত্রী শুধু বলেন, ‘‘ভাল ভাবে কাজ করতে বলেছি। এ ছাড়া আরও কিছু নির্দেশ দিয়ে গেলাম।’’ পূর্ত দফতরের বর্ধমান শহরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অপূর্ব কোনার বলেন, ‘‘মন্ত্রীর নির্দেশ পালন করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy