Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

স্কুলে ‘ফি’ বৃদ্ধি, গাছ ফেলে ক্ষোভ

কলকাতার পরে এ বার দুর্গাপুর। ‘ফি’ বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে রাস্তায় গাছ ফেলে বিক্ষোভ দেখালেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অভিভাবকদের একাংশ।

অবরোধ: জওহরলাল নেহরু রোডে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। নিজস্ব চিত্র

অবরোধ: জওহরলাল নেহরু রোডে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৪১
Share: Save:

কলকাতার পরে এ বার দুর্গাপুর। ‘ফি’ বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে রাস্তায় গাছ ফেলে বিক্ষোভ দেখালেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অভিভাবকদের একাংশ।

এ দিন জওহরলাল নেহরু রোড লাগোয়া ওই স্কুলে ফি প্রত্যাহারের দাবিতে অভিভাবকেরা পোস্টার সাঁটিয়ে দেন। তাতেও স্কুল কর্তৃপক্ষের দেখা মেলিন বলে অভিযোগ। এর পরে, কয়েক জন অভিভাবক রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধ শুরু করেন। বিক্ষোভের জেরে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সিটি সেন্টার থেকে বিধাননগরগামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক জন যাত্রীর সঙ্গে বচসাও হয় অভিভাবকদের একাংশের।

অবরোধের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক মোদী। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের আর্জি সত্ত্বেও অবরোধ তোলেননি অভিভাবকেরা। খানিক বাদে পৌঁছন মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা। অভিযোগ, তাঁকেও স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরে শঙ্খবাবু স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের নিয়ে আগামী ৩ মে বৈঠকের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আলোচনা না করে স্কুল কর্তৃপক্ষ মাসে প্রায় ১০-১৫ শতাংশ ফি বাড়িয়েছেন। এত দিন আগাম দু’মাসের ফি জমা নেওয়া হতো। কিন্তু চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে তা তিন মাসের করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, স্কুল থেকেই বই, জামাকাপড় কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে এর আগে প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। ২৪ এপ্রিল স্কুলের সামনে বিক্ষোভও দেখানো হয়।

সিবিএসই বোর্ডের ওই স্কুলটির অধ্যক্ষ অনিন্দিতা হোমচৌধুরী বলেন, ‘‘প্রশাসনের বৈঠকে স্কুলের বক্তব্য জানানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

School Fee Road Blockade
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE