সৌম্য গড়াই।
মোড়ে-মোড়ে টাঙানো হয়েছে পথ নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে পোস্টার। মোটরবাইক আরোহীরা হেলমেট পরছেন কি না, তা দেখতে মাঝে-মধ্যে জেলা পুলিশের কর্তারা অভিযানও চালাচ্ছেন। তার পরেও হুঁশ ফিরছে না অনেকের। হেলমেট ছাড়াই মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে অটোর সঙ্গে ধাক্কায় মৃত্যু হল কালনার এক স্কুলছাত্রের। মৃত সৌম্য গড়াই (১৫) সম্পর্কে কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগের ভাগ্না। গুরুতর আহত হয়েছে মৃত ছাত্রের এক সহপাঠীও। সরস্বতী পুজোর উৎসবের মাঝে রবিবার এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে শহরে।
পরিবার ও প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা যায়, কালনার অম্বিকা মহিষমর্দিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সৌম্য সম্প্রতি বাড়ির লোকজনের কাছে মোটরবাইক কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করে। কিন্তু বাড়ির লোকজন তাকে বাইক কিনে দেননি। রবিবার সকালে সে এক পড়শির কাছে একটি মোটরবাইক জোগাড় করে সহপাঠী অমর নাথকে পিছনে বসিয়ে ধাত্রীগ্রামের দিকে রওনা দেয়। শহর থেকে কিলোমিটার তিনেক দূরে নিভুজি এলাকায় ডাকবাংলো মোড়ে একটি অটোর সঙ্গে মোটরবাইকটির ধাক্কা লাগে।
এলাকাবাসীর দাবি, তীব্র গতিতে বাইক নিয়ে যাচ্ছিল সৌম্য। মাথায় হেলমেট ছিল না দুই আরোহীর কারও মাথাতেই। একটি বাঁকের মুখে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে অটোর পিছনে ধাক্কা মারে মোটরবাইকটি। ছিটকে পড়ে মাথা-সহ শরীরের নানা জায়গায় আঘাত পায় দুই ছাত্র। রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা সৌম্যকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অমরকে কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসবের শহরে বিষাদের ছায়া নেমে আসে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘মাথায় হেলমেট থাকলে সৌম্য হয়তো বেঁচে যেত। হেলমেট পরার জন্য এত প্রচার চালানো হচ্ছে। তবু অনেকেই হেলমেট ছাড়া বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন, এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy