Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

মাত্রায় কম, তবুও হল শব্দ-তাণ্ডব

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার, বেনাচিতি বাজার, বিধাননগর-সহ বেশ কিছু এলাকায় কানফাটা শব্দবাজির আওয়াজে বিব্রত হন শহরবাসী।

বিপদ: শব্দবাজি রোখা গেল না এ বারও। —নিজস্ব চিত্র।

বিপদ: শব্দবাজি রোখা গেল না এ বারও। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর ও আসানসোল শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০০:২৪
Share: Save:

বিস্তর প্রচার, অভিযান চালিয়েছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। শব্দবাজি রুখতে ধরপাকড়ও হয়েছিল কিছু। কিন্তু শেষমেশ পশ্চিম বর্ধমানে দীপাবলির রাতে শব্দ-যন্ত্রণা থেকে রেহাই মেলেনি, দাবি পরিবেশকর্মী থেকে সাধারণ নাগরিক, সকলেরই। তবে সকলেরই দাবি, গত বারের তুলনায় এ বার শব্দবাজির তাণ্ডবে খানিকটা হলেও লাগাম পড়েছে।

দুর্গাপুরের কালীপুজোর রাত মোটামুটি নির্বিঘ্নে কাটলেও দীপাবলির দিন স্বমহিমায় হাজির হয় শব্দ-দানব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার, বেনাচিতি বাজার, বিধাননগর-সহ বেশ কিছু এলাকায় কানফাটা শব্দবাজির আওয়াজে বিব্রত হন শহরবাসী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আসানসোল, নিয়ামতপুর, বরাকর বাজারে চোরাগোপ্তা শব্দবাজি বিক্রির খবর মেলে বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশি তৎপরতায় তা রোখা সম্ভব হয় বলে দাবি। যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত ন’টার পরে ওই সব শব্দ-তাণ্ডব শুরু হয়। আসানসোলের দু’টি শপিংমল চত্বর ও একাধিক বহুতল আবাসনের ছাদ থেকে যথেচ্ছ শব্দবাজি ফাটানোর নালিশ জমা পড়েছে বলে জানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তা ছাড়া পুলিশের দাবি, আসানসোল শহরের বাজার এলাকাতেও শব্দবাজি ফাটানোর আওয়াজ শোনা গিয়েছে। আসানসোলের বাসিন্দা পরিবেশকর্মী অভিজিৎ কুণ্ডু বলেন, ‘‘সন্ধ্যাটা ভাল কাটলেও রাত বাড়তেই বেশ কিছু জায়গায় শব্দ-দানবের দেখা মেলে।’’

দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের দাবি, গত বারের তুলনায় এ বার শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে অনেক কম। বাজি যে কম পুড়েছে তার প্রমাণ মিলেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দুর্গাপুর শাখার দূষণ মাপার যন্ত্রেও। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, শব্দ বাজির উপদ্রব রুখতে একাধিক দল দুর্গাপুরের নানা এলাকায় টহল দিয়েছে। সতর্ক ছিল পুলিশও। পর্ষদের দাবি, বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা, সালফার-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড যৌগের পরিমাণ কত, তার নিরিখেই বায়ুদূষণের মাত্রা মাপা হয়। দীপাবলি ও কালীপুজোর রাতে এগুলির মাত্রা নির্ধারিত মাত্রার নীচেই ছিল বলে দাবি পর্ষদের। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আসানসোল শাখার আধিকারিক সুদীপ ভট্টাচার্যেরও দাবি, ‘‘কন্ট্রোল অফিসে ফোনে হাতে গোনা কিছু অভিযোগ এসেছে। যথাসম্ভব ব্যবস্থা নিয়েছি।’’ উৎসবের রাতে আসানসোলের রাস্তায় পুলিশের টলহদারিও নজরে পড়েছিল বলেও দাবি শহরবাসীর।

প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, ধারাবাহিক প্রচার-অভিযানের কারণেই শব্দবাজিতে লাগাম পড়েছে। যদিও জেলার নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের দাবি, এই উপদ্রব কমার মূল কারণ, টানা বৃষ্টি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sound Crackers Diwali
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE