জমকালো: রবীন্দ্রনগর উন্নয়ন সমিতির মণ্ডপ। ছবি: শৈলেন সরকার
কারও বাজি, ভিন্-রাজ্যের বিখ্যাত মন্দির। কেউ বা আবার ভরসা রেখেছে সাবেক প্রতিমাতেই। সব মিলিয়ে থিম আর সাবেক পুজো, এই দুইয়ের মেলবন্ধনে জমজমাট শারদ-আবহ আসানসোলে।
অশুভ শক্তিকে দমনে বারেবারে উদয় হয়েছে নারী শক্তির। সেই শক্তিই এ বারের থিম আসানসোলের রবীন্দ্রনগর উন্নয়ন সমিতির পুজোর। সমিতির যুগ্ম সম্পাদক দেবেন মুখোপাধ্যায় জানান, বর্তমান প্রজন্মের কাছে নারী শক্তির স্বরূপ তুলে ধরাতেই এই আয়োজন। মণ্ডপের মূল দরজায় থাকছে বিশালকায় পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি। সেই পৃথিবীরী চার পাশে নারী শক্তির রূপ। তবে বৃষ্টির কারণে প্লাইউড, কাপড় ও থার্মোকলে তৈরি মণ্ডপ রক্ষা করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ উদ্যোক্তাদের।
আসানসোল কোর্ট রোড সর্বজনীন এ বার ভরসা রেখেছে সাবেক পুজোয়। বেঙ্গালুরুর সোমেশ্বর মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। প্রতিমার পরনে থাকছে কাঞ্জিভরম শাড়ি। আয়োজকদের তরফে সুব্রত দত্ত জানান, থিম পুজোর দাপটে দর্শনার্থীরা ক্লান্ত। তাই সাবেক মণ্ডপ, সাবেক প্রতিমার দিকেই ঝুঁকেছেন তাঁরা। মণ্ডপে এসে দর্শনার্থীরা দক্ষিণ ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। সুযোগ থাকছে সেখানকার জনপ্রিয় খাবার চেখে দেখারও।
স্বর্ণজয়ন্তীতে রাজস্থান ও মিশরের সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটিয়েছে আসানসোলের আপার চেলিডাঙা আমরা ক’জন সর্বজনীন কমিটি। কমিটির সম্পাদক শুভ্র বর্ধন জানান, দু’ভাগে সাজানো হয়েছে গোটা মণ্ডপ। মূল প্রবেশদ্বার রাজস্থানের দুর্গের আদলে সাজানো হয়েছে। মিশরের পিরামিড-মমি দেখতে হলেও দর্শনার্থীরা ঢুঁ মারতে পারেন এখানে।
আসানসোলের রাধানগর অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজোর এ বারের থিম, ‘বাংলার লুপ্তপ্রায় কুটির শিল্প’। উদ্যোক্তারা জানান, কাল্পনিক মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপে থাকছে পুঁতি, ঝিনুক, শামুক ও কাচের চুড়ির কাজ। থিম প্রসঙ্গে কমিটির সম্পাদক শান্তিময় ভট্টাচার্য জানান, বাংলার কুটির শিল্পের গুরুত্ব বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়েছে তাঁদের পুজোয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy