প্রতীকী ছবি।
উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে ডেঙ্গি, অজানা জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে প্রতি দিন। এই পরিস্থিতিতে কাঁকসার নানা গ্রামীণ এলাকায় সচতনতা প্রচার বা সাফাই অভিযান, কিছুই নজরে পড়ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। যদিও পানাগড় বাজার-সহ কিছু শহুরে এলাকায় প্রশাসনের পদক্ষেপ চোখে পড়ছে। যদিও সর্বত্র মশার উপদ্রবে লাগাম টানা যায়নি বলেই মত বাসিন্দাদের।
পানাগড় বাজারে রয়েছে গাড়ি সারাইয়ের বেশ কিছু দোকানপাট। পানাগড়ের দার্জিলিং মোড় থেকে রেল সেতু পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে রয়েছে কয়েক হাজার দোকান। এর বেশির ভাগই পুরনো গাড়ি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, গাড়ির যন্ত্রাংশ, টায়ার যেখানেসেখানে পড়ে রয়েছে। তাতে জল জমে মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। এ ছাড়া আগাছা সাফ না হওয়াতেও পানাগড় বাজার-সহ রেলপাড়, কাঁকসা কলোনি, গোপালপুর, বনকাটি, ত্রিলোকচন্দ্রপুরের নানা এলাকায় মশার ভয়ে দিনেও মশারিই ভরসা বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, দিন কয়েক আগে পানাগড় বাজারে থাকা পুরনো গাড়ি কেনাবেচার বাজারে মশা মারতে অভিযানে নেমেছিল কাঁকসা ব্লক প্রশাসন। বিভিন্ন দোকান মালিকদের দোকানের সামনে জমে থাকা গাড়ির যন্ত্রাংশ, টায়ার সাফ করা, ব্লিচিং ছড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্লক প্রশাসনও এই কাজে হাত লাগায়।
কিন্তু লাগোয়া গ্রামীণ এলাকাগুলিতে প্রশাসন এমন কোনও কর্মসূচি নেয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। পানাগড়ের রেলপাড় লাগোয়া সারদাপল্লির বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, এলাকায় নিকাশি ও সাফাইয়ের অভাব বড় সমস্যা। আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নেই। এলাকার বাসিন্দা কিংশুক ঘোষ, হরেরাম কোঙারদের অভিযোগ, ‘‘আমাদের এলাকায় মশা মারতে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি প্রশাসনের তরফে। অনেকে ব্যক্তিগত ভাবে বাড়ির সামনে ব্লিচিং ছড়াচ্ছেন।’’ একই হাল ব্লকের অন্যান্য পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতেও।
যদিও বিডিও (কাঁকসা) অরবিন্দ বিশ্বাসের অবশ্য আশ্বাস, ‘‘গোটা ব্লকে মশা মারতে অভিযান চালানো হবে। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর নানা এলাকায় গিয়ে কীটনাশক ছড়াবে। বাসিন্দাদেরও সচেতন হতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy